প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২২, ১১:৪৮ পিএম
কুমিল্লার
আদালতে দৈনিক ভোরের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক)
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র
পদপ্রার্থী আরফানুল হক রিফাত। মিথ্যা, বানোয়াট
ও মানহানিকর সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে তিনি এই মামলা করেন।
মঙ্গলবার
(১৭ মে) সকালে কুমিল্লা
আদালতের জেলা ও দায়রা
জজ আদালত-১-এর আইনজীবী
মাসুদুর রহমান শিকদার মামলাটির আবেদন করেন। পরে জেলা ও
দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক আব্দুল
হান্নান ভোরের কাগজকে একটি সমন পাঠানোর
নির্দেশ দেন।
মামলার
বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুদুর রহমান শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত
১৩ মে কুমিল্লা সিটি
করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনের কুমিল্লা
মহানগর থেকে মনোনয়ন পান রিফাত। ১৫ মে ভোরের
কাগজের প্রথম পাতায় আরফানুল হক রিফাতের ছবি
দিয়ে "কুমিল্লার শীর্ষ মাদক কারবারি রিফাত
এখন নৌকার কান্ডারি" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ প্রকাশের
পর কুমিল্লার পাড়া-মহল্লা থেকে
শুরু করে সব জায়গায়
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই সংবাদ।
রিফাতের
বরাত দিয়ে মহানগর আওয়ামী
লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় আজ (মঙ্গলবার) জানান,
আমরা দৈনিক ভোরের কাগজে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছি। তা যথাস্থানে না
ছাপার কারণে আমরা ভোরের কাগজের
প্রকাশক সাবের হোসেন চৌধুরী, সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বার্তা সম্পাদক ইকতিয়ার উদ্দিন, সিনিয়র রিপোর্টার মুহাম্মদ রুহুল আমিন ও কুমিল্লার
স্টাফ রিপোর্টার এম ফিরোজ মিয়াসহ
পাঁচজনের বিরুদ্ধে কুমিলার আদালতে ১০ কোটি টাকার
মানহানির মামলা করি।
মঙ্গলবার
বেলা দেড়টায় কুমিল্লা নির্বাচন অফিসের রিটার্নিং অফিসার মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরীর
কাছে মনোনয়োনপত্র জমা দেন আওয়ামী
লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরফানুল
হক রিফাত। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন
আমাকে মেয়র পদের জন্য
মনোনীত করলেন, তখন পত্রিকাটি ছাপালো-২০১৮
সালের গোয়েন্দা সংস্থার এক রিপোর্টে নাকি কুমিল্লার
শীর্ষ মাদক কারবারির মধ্যে
আমার নাম আছে। আমার
নাম থাকলে ওই পত্রিকা আগে
কেন রিপোর্ট প্রকাশ করেনি? নমিনেশন পাওয়ার পর কেন রিপোর্ট
প্রকাশ করলো। এটি আমার বিরুদ্ধে
গভীর ষড়যন্ত্র।’
এ
সময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চিত্ত রঞ্জন ভৌমিক, আবদুল হাই বাবলু, জেলা
পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ
প্রমূখ।
এএমকে