• ঢাকা রবিবার
    ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অপসারণ দাবী শিক্ষকদের

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২, ১২:৩৪ এএম

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অপসারণ দাবী শিক্ষকদের

জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষকরা। রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

অবস্থান কর্মসূচী চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এএইচএম মাহবুবুর রহমান, সমাজকর্ম বিভাগের চেয়াররম্যান ড. আল-মামুন সরকার সহ অন্যান্য শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা, হলের ডাইনিং পরিচালনায় ভর্তুকি প্রদান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আলাদা যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে মূল ও রেফারেন্স বইয়ের একাধিক মাস্টারকপিসহ উন্নতমানের দেশী-বিদেশী বই ও জার্নাল সরবরাহ, সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল, গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষকদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনের ব্যয় প্রদান, গেস্ট হাউজে রুম বরাদ্দ, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় কর্মরতদের অভিজ্ঞতা গণনা করা, পদোন্নতি প্রাপ্যতার তারিখ থেকে আর্থিক সুবিধাদি ও পদোন্নতি প্রদানসহ দশ দফা দাবীতে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষকরা বলেন, আমরা চাই দ্রুত আমাদের এসব যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবী উপাচার্য মেনে নিবেন এবং আমরা ক্লাশে ফিরে যাব। এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি মেনে না নেওয়ায় রবিবার দুপুরে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। বর্তমান উপাচার্যকে প্রত্যাহার করে সৎ, নির্ভিক ও কর্মনিষ্ঠ একজন শিক্ষাবিদকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে এই বিশ^বিদ্যালয়টিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবী জানান তারা।      
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন। উপাচার্য আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষকদের সকল দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষকদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।
 

গত ২ নভেম্বর থেকে এসব দাবী আদায়ের লক্ষ্যে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বর্জন ও পরীক্ষা গ্রহণ না করে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের এ আন্দোলনের ফলে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

 

এসএই

আর্কাইভ