
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০৭:০১ পিএম
নিহত মুক্তা খাতুনের হাতে মেহেদি দিয়ে লেখা ছিল সব আমার মায়ের দোষ, আমরা চলে যাচ্ছি।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের হাটবাকুয়া গ্রামের মাঠ থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় নিহত মুক্তা খাতুনের হাতে মেহেদি দিয়ে লেখা ছিল সব আমার মায়ের দোষ, আমরা চলে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হাটগোপালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃতরা হলেন- সদর উপজেলার তালতলা হরিপুর গ্রামের চুনু শেখের ছেলে রমজান হোসেন রুজিব (২০) ও তার স্ত্রী হরিণাকুন্ডু উপজেলার বিন্নি গ্রামের গোলাম হোসেনের মেয়ে মুক্তা খাতুন (১৮)। তারা ২ মাস আগে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে গ্রামের মাঠে রুজিব ও মুক্তা খাতুনের ঝুলে থাকা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এসআই বিল্লাল হোসেন জানান, গাছের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ ঝুলছিল। ২ মাস আগে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু মেয়ের পরিবারের লোকজন তাদের এ বিয়ে মেনে নেয়নি। বৃহস্পতিবার মেয়ের পরিবারের লোকজন মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসার কথা ছিল। এ কারণেই তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেয়েটি তার বা হাতে মেহেদি দিয়ে লিখেছে ‘সব আমার মায়ের দোষ’, আমরা চলে যাচ্ছি।
সাজেদ/এএল