• ঢাকা রবিবার
    ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় চলছে শৈত্যপ্রবাহ: টানা তিনদিন সর্বনিন্ম তাপমাত্রার রেকর্ড

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২২, ০৬:২৮ পিএম

চুয়াডাঙ্গায় চলছে শৈত্যপ্রবাহ: টানা তিনদিন সর্বনিন্ম তাপমাত্রার রেকর্ড

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিনদিন সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে দেশের সীমান্তবর্তী এ জেলায়। এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অফিস।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) তা নেমে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা আরও কমে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, এ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এ জেলার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা। হিমেল বাতাস থাকায় সারাদিনই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এ মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে।

চুয়াডাঙ্গায় আবহাওয়া পরিবর্তনের শুরু থেকেই শীতজনিত রোগ নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীতে ভর্তি হওয়ায় তীব্র শীতে বাইরের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে অনেককে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান খোকন বলেন, শীতে শিশু এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সর্তকতা অলম্বন করতে হবে। আক্রান্ত হওয়ার আগেই সতর্ক হতে হবে। শিশুদের কোনোভাবেই বেশি ঠাণ্ডা লাগতে দেওয়া যাবে না। পানি ফুটিয়ে পান করাতে পারলে ভালো।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতেহ আকরাম বলেন, চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন রোগী এবং শিশু ওয়ার্ডে ২৫ থেকে ৩৫ জন নতুন রোগী আসছে। এছাড়া বর্হিবিভাগেও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। চুয়াডাঙ্গায় নতুন ও পুরাতন শীতবস্ত্রের দোকানগুলোয় বেশ ভিড় দেখা যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহের কারণে সকাল এবং সন্ধ্যার পর থেকে ঘরের বাইরে বের হওয়া ও সাধারণ মানুষের চলাচল অনেকাংশেই কমে গেছে।


এএল/

আর্কাইভ