• ঢাকা শনিবার
    ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ক্যাপসিকাম চাষ করে রিপনের মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২২, ০৫:০৪ পিএম

ক্যাপসিকাম চাষ করে রিপনের মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

শীতকালীন সবজি ক্যাপসিকাম চাষ করে সফল হয়েছেন কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের মো. আমীর আলীর ছেলে মো. রিপন মিয়া। ইউটিউব দেখে ক্যাপসিকাম চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে সফল হয়েছেন তিনি। অনান্য ফসলের পাশাপাশি ক্যাপসিকাম চাষ করে এখন তার মাসিক আয় ৫০ হাজার টাকা। কম সময়ে বেশি লাভ হওয়ায় এ সবজি চাষে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। তবে সরকারিভাবে বাজারজাতকরণের বিশেষ কোনো উদ্যোগ না থাকায় ক্যাপসিক্যাম চাষের বিপ্লব ঘটাতে পারছেন বলে জানান চাষি।

ক্যাপসিকাম চাষি মো. রিপন মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রিপন মিয়া জীবিকার তাগিদে প্রবাসে ছিলেন। প্রবাস জীবন ছেড়ে গ্রামে এসে আত্মকর্মসংস্থানের জন্য কৃষি কাজে ঝুঁকে পড়েন। নিজের জমি জমা তেমন না থাকায় গ্রামে অন্যের জমি লীজ নিয়ে শুরু করেন ক্যাপসিকাম চাষ। প্রথম বছরে এক বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করে লাভবান হন। পরে বছর দু-বিঘা জমিতে চাষাবাদ শুরু করে এখন ৪ বিঘা জমিতে করছেন ক্যাপসিকামের চাষ। তার এই চাষাবাদের লাভবান হওয়ার কথা শুনে এলাকায় ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহ বাড়েছে অনেকেরই।

তিনি বলেন, ক্যাপসিকাম সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। ইউটিউব দেখে বাস্তবে এ চাষ করার উদ্যোগ নেই। শসা, ফুলকপি চাষের পাশাপাশি শীতকালীন সবজি ক্যাপসিকাম চাষ করে আমার ভালো আয় হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে ৫০ গ্রাম ক্যাপসিকাম বীজের প্রয়োজন হয়। বীজের দাম ১৩ হাজার টাকা। কোকোপিট দিয়ে চারা উৎপাদন করতে হয় বলে খরচ একটু বেশি পড়ে। গত বছরের তুলনায় এ বছর সার কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় বিঘা প্রতি ১ লাখ টাকা খরচ পড়েছে। এ পর্যন্ত ৪ বিঘা জমি থেকে ৩ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করেছি। এখনও জমিতে প্রচুর ক্যাপসিকাম আছে, আশা করছি অনান্য বছরের তুলনায় ভালো লাভ হবে। তবে স্থানীয় বাজারে ক্যাপসিকামের চাহিদা নেই। ঢাকার কারওয়ান বাজারে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।

ক্যাপসিকাম চাষে দিনমজুর ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমি রিপন ভাইয়ের ক্যাপসিকাম চাষ দেখাশোনা করি। আমার মতো আরও ৪ জন এখানে কাজ করে সংসার চালাই। ক্যাপসিকাম চাষে পরিশ্রম কম লাভ বেশি। জমিতে ইন্দিরা ও টাইগার নামে দু’ধরনের ক্যাপসিকাম আছে। ক্যাপসিকাম চাষ দেখতে  এখানে অনেক মানুষ আসে।


ক্যাপসিকাম চাষ দেখতে আসা কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, আমি গত দু’বছর বছর ধরে দেখেছি রিপন ভাই ক্যাপসিক্যাম চাষ করে লাখ লাখ টাকা লাভ করেছে। আশা করছি আগামীতে আমিও ক্যাপসিক্যাম চাষ শুরু করবো।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, জেলায় একমাত্র রিপন মিয়ার ৪ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হচ্ছে। গত দু’বছর ধরে তিনি এ আবাদ করছেন। কৃষি অফিস থেকে সকল পরামর্শ ও ন্যায্য মূল্যে সার পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও কৃষি ঋণ বীজ ও প্রনোদনা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

সজিব/এএল

আর্কাইভ