• ঢাকা শুক্রবার
    ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ সম্পন্ন

প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩, ০৫:৩৫ পিএম

পদ্মা সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ সম্পন্ন

মাদারীপুর প্রতিনিধি

স্বপ্নজয়ের পদ্মা সেতুতে সড়ক পথের পর এবার রেললাইন নির্মাণ সম্পন্ন হলো। সেতুর পাথরবিহীন রেললাইনের বাকি ৭ মিটারের ঢালাই সম্পন্ন হয় বুধবার বিকেল ৫টায়। এর মাধ্যমে সম্পন্ন হলো রেলপথের কাজ, যুক্ত হলো আরেকটি বড় অর্জন।

এবার মাওয়া থেকে ভাঙা পর্যন্ত পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ৪২ কিলোমিটার পরীক্ষামূলকভাবে রেল চলবে ৪ এপ্রিল। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেলে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর নিচ তলাজুড়েই এখন পাথরবিহীন রেললাইন। নতুন নির্মাণ করা ৭ মিটার ছাড়া পুরো সেতুতেই রেল চলতে পারছে। আর উপরতলায় চলছে হরেক রকম যানবাহন। এবারের স্বাধীনতার মাসের শেষ বুধবারটি ইতিহাস হয়ে রইলো।

সেতুর ২৫ নম্বর খুঁটির কাছে ৫ নম্বর মুভমেন্ট জয়েন্টের জন্য চীন থেকে নিয়ে আসা সবশেষ স্লিপারটি স্থাপনের পর চলে কংক্রিটিং প্রস্তুতি। পদ্মার এপার-ওপারকে রেলপথে যুক্ত করতে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই বিকেলে শুরু হয় ঢালাই। ট্র্যাক কারে করে মাওয়া থেকে কংক্রিটিং মিকচার বিশেষভাবে তৈরি করে নিয়ে আসা হয়। এরপর ক্রেনে করে ঢেলে দেয়া হয়। ভাইব্রেশন মেশিন ব্যবহার করে মিকচার সবখানে সঠিকভাবে পৌঁছানোর পর ঠিক করা হয় লেভেল। ৪৫ মিনিটেই ১২টি স্লিপার ঢালাই করে যুক্ত করা হয় দুইভাগে। এই মাহেন্দ্রক্ষণে উচ্ছ্বসিত সবাই।

প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, এটি বাঙালির আরেক স্বপ্নজয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞাবান সিদ্ধান্তে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু এখন বহুমুখী। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েই রেললাইন স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। এখন পরবর্তী ধাপের যাবতীয় ফিনিশিং কাজও দ্রুত সময়ে মধ্যেই শেষ হবে।

প্রকল্প পরিচালক-পিডি মো. আফজাল হোসেন বলেন, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মা সেতু অতিক্রম করে ৪২ কিলোমিটার পরীক্ষামূলক রেল চলবে ৪ এপ্রিল। চলতি বছরের শেষের দিকেই ঢাকা থেকে ভাঙা রেল চলাচলের আশা প্রকল্প পরিচালকের।

সেতুতে গত ২৩ নভেম্বর কংক্রিটিং শুরু হয়ে শেষ হয় ১২৭ দিনে। ৭ মিটার কংক্রিটিং করার মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পুরো সেতুর ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে। পুরো সেতুতে ১১২২টি স্লিপার বসেছে। এরমধ্যে চীন থেকে আনা হয় ২৭৪টি, বাকিগুলো বিশ্বমানের করে নির্মাণ করা হয় দেশেই।

 

এএল
 

আর্কাইভ