• ঢাকা রবিবার
    ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে স্বস্তির ঈদযাত্রা

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩, ০২:৫৯ এএম

সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে স্বস্তির ঈদযাত্রা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নাড়ির টানে প্রিয়জনদের কাছে ফিরছে মানুষ। এতে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। গতকাল রাত থেকে মহাসড়কে চাপ বাড়লেও আজ রাতে তা বেড়ে কয়েকগুণ হয়েছে। 

তবে যানবাহনের চাপ থাকলেও সিরাজগঞ্জের ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘরে ফেরা মানুষদের কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি এই মহাসড়কে। ফলে এবার সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে স্বস্তির হচ্ছে ঈদযাত্রা। 

মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাত ৮টার দিকে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল কবীর, সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক সার্জেন্ট রনি পোদ্দার ও ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক। 

বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর হয়ে চান্দাইকোনা পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কজুড়ে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। তবে মহাসড়কের প্রতিটি পয়েন্টেই স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। অন্ধকার ভেদ করে মহাসড়কে ছুটে চলেছে একের পর এক যান। সাভার ও টাঙ্গাইলে যানজট ঠেলে আসার পর স্বস্তি মিলছে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে। পেছনে যানজটে নষ্ট হওয়া সময় যেন কিছুটা উসুল করার চেষ্টা করছেন চালকরা।

নলকার মোড় এলাকায় যাত্রী নামানোর সময় ঢাকা পোস্টের সঙ্গে কথা বলেন মহাখালী থেকে সৈয়দপুর গামী রাকিব পরিবহনের সুপারভাইজার আজমত আলী। তিনি বলেন, সাভার ও টাঙ্গাইলে যানজট পাড়ি দিয়ে এসেছি। টাঙ্গাইলের মহাসড়কেই লেগে গেছে ৫-৬ ঘণ্টা। কিন্তু সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে কোথাও কোনো যানজট বা ধীরগতি পাইনি। স্বাভাবিক গতিতে চলে যাচ্ছি। পেছনে যানজটে নষ্ট করা সময় কিছুটা তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে এই মহাসড়কে। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পরে যাত্রী ও আমাদের স্বস্তি মিলেছে। 

dhakapost

মহাসড়কের নলকা মোড় এলাকা থেকে সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট রনি পোদ্দার ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের প্রচুর চাপ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে পশ্চিম মহাসড়কের চারলেন রাস্তা পাচলিয়া বাজারের কাছাকাছি এসে শেষ হয়েছে। সেখান থেকে গাড়িগুলোকে সিঙ্গেল রোডে ঢুকতে হচ্ছে। যার ফলে এখানে এসে তুলনামূলক যানবাহনের গতি একটু কমে যাচ্ছে। এছাড়া পুরো মহাসড়কজুড়েই একদম স্বাভাবিক গতিতে যান চলাচল করছে। তবে এখানে গতি একটু কমলেও মহাসড়কে ধীরগতি বা যানজট তৈরি হচ্ছে না। 

হাটিকুমরুল গোল চত্বর এলাকা থেকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল কবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসড়কে গাড়ির চাপ অনেকটা বেড়েছে। এই মুহূর্তে মহাসড়কের হাটিকুমরুল গোল চত্বর এলাকায় যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে সেগুলোর গতি স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হয়েছি। মহাসড়কের কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজটের মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। এ ছাড়াও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা তৎপর রয়েছি। 

সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল রাত থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। এই মুহূর্তেও মহাসড়কে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে। তবে জেলা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে এই চাপ খুব আন্তরিকতার সঙ্গে সামলে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।  

তিনি বলেন, মহাসড়কে চাপ থাকলেও উত্তরের পথে কোনো যানজট বা ধীরগতি নেই। আশা করছি উত্তরবঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষের গত ঈদের মতো এবারের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন হবে। এ ছাড়াও যানবাহন ও ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে ও সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছি। 

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছে। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে হাটিকামরুল গোল চত্বর পর্যন্ত মহাসড়কের কিছু রাস্তা ডাবল লেন এবং কিছু রাস্তা সিঙ্গেল লেন আছে, সে কারণে ওইদিকে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সমস্যা হতে পারে। যার কারণে জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ মিলে পাঁচটি রেকার প্রস্তুত করে রেখেছে। যেন কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে অথবা কোনো গাড়ি বিকল হয়ে পড়লে সেটা দ্রুত সরিয়ে নেওয়া যায়। 

 

বিএস/

আর্কাইভ