• ঢাকা রবিবার
    ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

বাসায় জাল নোট তৈরির কারখানা, গ্রেফতার ৩

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৩, ০১:০৩ এএম

বাসায় জাল নোট তৈরির কারখানা, গ্রেফতার ৩

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জাল টাকা তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। শারদীয় দুর্গা উৎসবকে সামনে রেখে ফ্ল্যাট বাসার আড়ালে ওই কারখানাটিতে জাল টাকা তৈরি করা হতো। এ ঘটনায় সাত লাখ ৮০ হাজার জাল নোটসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল নোট ও টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়।

আটকরা হলেন- আলমগীর হোসেন, রাসেল ও রুবেল ইসলাম ওরফে হৃদয়।

শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় একটি বাড়ির চতুর্থ তলায় ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে জাল নোট চক্র সেখানে জাল টাকা তৈরির কারখানা স্থাপন করে। ১০০, ২০০ ও ৫০০ টাকার জাল নোট ছাপিয়ে সেগুলো বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতেন তারা।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ শুক্রবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জে ওই বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে জাল টাকা তৈরির কারখানার প্রমাণ পায়। সেখানে তল্লাশি করে উদ্ধার হয় সাত লাখ ৮০ হাজার টাকার জালনোট। এ সময় জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন ধরণের সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এর মধ্যে একটি ল্যাপটপ, একটি প্রিন্টার, বিভিন্ন রঙের কালি, তিনটি ডাইস, এক কেজি ট্রেসিং পেপার ও ২৫০ পেইজের এ ফোর সাইজের কাগজ রয়েছে। এ সময় জাল টাকা  চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, গ্রেফতাররা ঈদ, পশুরহাট ও পূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব এলে জাল টাকা তৈরিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ীভাবে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে এর আড়ালে কারখানা বসিয়ে বিভিন্নমানের জাল নোট তৈরি করেন। এরপর তারা নানাজনের কাছে তা সরবরাহ করে আসছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

তবে এ চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছেন এবং কারা জাল নোট কিনে নিয়ে ছড়িয়ে দিতো সে বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অনুসন্ধান ও নজরদারি চলছে।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। এছাড়া আসামিদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাই লাউ মারমা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলামসহ ডিবি পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ