প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের লক্ষ্যে নির্মিত বহুতল ভবন বরাদ্দের অভাবে দীর্ঘদিনেও চালু না হওয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তহবিল গঠণ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। এবার সেই তহবিলে ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার দুপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা প্রশাসক সাবেত আলীর হাতে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন জামায়াতের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম।
এ সময় বক্তব্যে তিনি বলেন, খাদ্য সমস্যা সমাধানে, শিক্ষা এবং দেশের স্বার্থে দলমত দেখা ঠিক নয়। হাসপাতাল চালু করতে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা প্রশংসার দাবিদার। আমাদের এই অনুদান শুধু দলের পরিচিতির জন্য না, এটা মানবিক কাজ।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আমাদের গর্বের প্রিয় দেশ। এই দেশ গড়ার জন্য আমরা দল-ধর্ম নির্বিশেষে আমরা সবাই মিলে কাজ করবো। আর চিকিৎসা, শিক্ষা, দেশের সার্বভৌমত্ব- এসব ক্ষেত্রে আমরা দল এবং ধর্মের পরিচয়ে কাজ করবো না। আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবো। আমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, আমরা সবাই বনি আদম- ভালো কাজ করার জন্যই আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন। সে হিসেবে সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব।

পরে মাওলানা আব্দুল হালিম দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না হলে এর কোন মূল্য নেই। জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তির জন্যই আমরা জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কথা বলছি। গণভোট এবং নির্বাচন দুটোই হতে হবে। একটি হবে একটি হবেনা এটা আমরা মানবোনা।
মাওলানা আব্দুল হলিম আরো বলেন, কোন রাজনৈতিক দলের সাথে আমাদের বিরোধ নেই। যে যার মত রাজনৈতিক মতামত পেশ করবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা ৮টি দল মিলে গণভোট সহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে এক হয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইকবাল হোসাইন, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন, গণ অধিকার পরিষদের জেলা শাখার আহ্বায়ক মাহফুজার রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার আলম বিপ্লব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল হাই, খেলাফত মজলিসের সভাপতি হাফেজ মীর মোর্শেদ তুহিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালীন সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী প্রমুখ।