প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১, ০২:৫৩ পিএম
বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়ক উত্তম কুমার। তার বলিষ্ঠ কণ্ঠ, সুনিপুণ অভিনয় আর
ভুবন ভোলানো হাসিতে একসময় মেতে উঠত হল ভরা দর্শকেরা। তার নায়কোচিত চেহারা আর সুঠাম
দেহের গঠনে মুগ্ধ ছিল সকলেই।
বাংলা
সিনেমার কিংবদন্তি এই অভিনেতার ৯৫তম জন্মদিন আজ। ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার ভবানীপুরে
জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন মধ্যবিত্ত এক পরিবারের ছেলে।
উত্তম
কুমারের আসল নাম ছিল অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। সিনেমায় এসে তিনি হয়ে যান উত্তম কুমার।
সংসারের দায়িত্ব ঘাড়ে এসে পড়ায় শিক্ষাজীবন শেষ না করেই কলকাতা পোর্টে কেরানির চাকরি
নিয়েছিলেন তিনি।
উত্তম
কুমার প্রথমবারের মতো অভিনয় করেছিলেন ‘মায়াডোর’ নামের
একটি চলচ্চিত্রে। তবে সিনেমাটি আলোর মুখ দেখেনি। তার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা
ছিল ‘দৃষ্টিদান’। এরপর ‘বসু পরিবার’ সিনেমায় কাজ করে আলোচনায় চলে আসেন এই অভিনেতা।
উত্তম
কুমার ১৯৫৩ সালে অভিনয় করেন ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ সিনেমায়।
এর মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা সিনেমায় রীতিমতো ঝড় তোলেন। এই সিনেমার হাত ধরেই আকাশছোঁয়া
জনপ্রিয়তার দেখা পান তিনি।
এরপর
শুরু হয় বাংলা সিনেমার উত্তম যুগ। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে ‘পথে হলো দেরী’, ‘হারানো সুর’, ‘সপ্তপদী’,
‘চাওয়া পাওয়া’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘বিপাশা’ আর ‘সাগরিকা’র
মতো কালজয়ী সব সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি।
একসময়
তুমুল জনপ্রিয় ছিলো সুচিত্রা সেনের সঙ্গে উত্তম কুমারের জুটি। তাদের জুটি হয়ে অভিনয়
করা বহু সিনেমা জায়গা করে নিয়েছে কালজয়ীর তালিকায়।
বাংলা
ভাষা ছাড়াও উত্তম কুমার অভিনয় করেছেন হিন্দি ভাষাতেও। ‘ছোটিসি মুলাকাত’, ‘অমানুষ’, ‘আনন্দ আশ্রম’ তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য হিন্দি সিনেমা।
বাংলা
চলচ্চিত্রের মহানায়ক উত্তম কুমার ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরবিদায়
নেন। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও কোটি কোটি বাঙালীর মনে তিনি হয়ে আছেন চিরস্মরণীয়।
ডব্লিউএস/এএমকে