প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১, ০৪:৩২ পিএম
উত্তম কুমার ছিলেন বাংলা সিনেমার মহানায়ক। একসময় তার নামেই চলত সিনেমা, হলে যেত দর্শক। তার অসাধারণ অভিনয় নৈপুণ্যে মুগ্ধ ছিল কোটি কোটি মানুষ।
তবে এক দিনে মহানায়ক হয়ে ওঠেননি উত্তম কুমার। ক্যারিয়ারের শুরুতে তাকেও পেতে হয়েছিল ব্যর্থতার স্বাদ। শুরুর দিকে টানা ৭টি সিনেমা ফ্লপ হয়েছিল তার। পরবর্তীতে উত্তম কুমারের কাছে এসে ধরা দেয় সফলতা। ষাটের দশকের শেষ ভাগে তার একের পর এক সিনেমা সফল হয়। সত্তরের দশকেই তিনি মহানায়ক খ্যাতি পেয়ে যান।
ওই সময় সত্তর দশকের শুরুর ভাগে নকশাল আন্দোলন শুরু হয় কলকাতায়। একদিন হঠাৎ করেই হত্যার হুমকি দেয়া হয় উত্তম কুমারকে। সেদিন তিনি নিউ থিয়েটারস স্টুডিওর মেকআপ রুমে বসে ছিলেন। তখন কয়েকজন ব্যক্তি এসে তার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
ওই ঘটনায় ভয় পেয়ে কলকাতা ছেড়ে পালিয়েছিলেন উত্তম কুমার। যাতে কেউ চিনতে না পারে সেজন্য দ্রুত নিজের চুল ছোট করে তিনি ট্রেনে করে মুম্বাই গিয়েছিলেন। চলে যান মুম্বাই। সেখানে গিয়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন অভিনেতা অভি ভট্টাচার্যের বাড়িতে।
আর কলকাতায় ফিরবেন না বলে প্রায় ঠিক করে ফেলেছিলেন উত্তম কুমার। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বন্ধু-সহকর্মীদের আশ্বাসে তিনি কলকাতায় ফিরেছিলেন।
উত্তম কুমার ১৯৮০ সালে ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন স্ট্রোক করেন। তাকে ভর্তি করা হয় ভেলভিউ ক্লিনিকে। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৪ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ডব্লিউএস/এএমকে