• ঢাকা সোমবার
    ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

‘তাহলে তো আপনার নিঃশ্বাসও আমি পাই’

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২১, ০৮:১২ পিএম

‘তাহলে তো আপনার নিঃশ্বাসও আমি পাই’

বিনোদন প্রতিবেদক

ঢাকাই সিনেমার সফলতম নায়িকাদের একজন শাবনূর। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করেছেন এ সফল অভিনেত্রী। রেকর্ড সংখ্যক ১০ বার পেয়েছেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার। তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সিনেমার যতগুলো গান জনপ্রিয় হয়েছে, তার বেশির ভাগই গেয়েছেন কনকচাঁপা। এ কারণে একে-অপরের ক্যারিয়ারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানুষ।

বুধবার (৬ অক্টোবর) রাতে কনকচাঁপা শাবনূরের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করেন। দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাসও লিখেছেন তিনি। সেখানে শাবনূরের সঙ্গে তার কিছু স্মৃতি তুলে এনেছেন।

কনকচাঁপা লিখেছেন, ‘দুজনকে বলা যায় দুই দেহ এক উপস্থাপন। আমি শাবনূরের অথবা শাবনূর আমার। প্লেব্যাকের পুরোটা উজ্জ্বল সময় আমি প্রধানত শাবনূরের জন্য গেয়েছি। আমি গাইলে নাকি ডিরেক্টরদের মনে হতো তিনি গেয়েছেন। তাই তার সিনেমার গানে কনকচাঁপার কণ্ঠ অবশ্যম্ভাবী। অনেকেই এই ঠোঁট মিলে যাওয়া বা আবেগ মিলে যাওয়া অথবা বলা যায় একাত্ম হয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব আমাকে দিতে চান। আমি তা সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করি। কারণ আরও নায়িকার ঠোঁটে আমি গেয়েছি। কিন্তু এমন একাত্ম হওয়া যায়নি হয়তো। সেক্ষেত্রে আমি শাবনূরের অত্যাশ্চর্য অভিনয়কেই বেশি মূল্যায়ন করি। তিনি অনেক উঁচু দরের অভিনয়শিল্পী। এসব কথা বা ব্যখ্যা অথবা বাস্তব ঘটনা যারা সিনেমা দেখতেন, বা ভক্ত ছিলেন তারা সবাই হয়তো জানেন।’

একসঙ্গে এত কাজ করলেও সরাসরি তাদের খুব কম দেখা হয়েছে বলে জানালেন কনকচাঁপা। লিখেছেন, ‘একটি কথা একদম অজানা যেমন পুরো পেশাদার জীবনে শাবনূর আর আমার খুব কম দেখা হয়েছে। প্লেব্যাকের প্রথম দিকে দুজন মিলে একটা টিভি চ্যানেলের জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। এরপর হঠাৎ হঠাৎ হয়তো চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কোনো অনুষ্ঠানে মিতবাক শাবনূরের সঙ্গে আমার খুবই কম সময়ের জন্য দেখা হয়েছে। দুয়েকটা বাক্য বিনিময় ছাড়া আর কিছু হয়নি আমাদের মাঝে।’

কনকচাঁপা যে ছবিটি পোস্ট করেছেন, তা তোলা হয়েছিল তার ছেলের বিয়ের দিন। সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে কনকচাঁপা লিখেছেন, “মাশুকের বিয়ের সময় তার বাসায় দাওয়াত দিতে গেলাম। বাসায় যাওয়ার পরে আবেগে উচ্ছ্বাসে একদম উল্লসিত হয়ে গেল। আমার বাসা ওর বাসার কাছে শুনে বলল ‘ও আল্লাহ! তাহলে তো আপনার নিঃশ্বাসও আমি পাই।’ দুপুর বেলা গড়িয়ে গেলেও সে কিছুতেই না খেয়ে আসতে দিলো না। নিজ হাতে বেড়ে বেড়ে নিজের করা রান্না আমাদের খাওয়াল। আমি বারবার শাবনূরের চোখের দিকে তাকাচ্ছিলাম! এবং চমকে যাচ্ছিলাম। তার চোখ এত সুন্দর যে বেশিক্ষণ তাকানো যায় না! চলা-বলায় এত ভোলাভালা যে আমি বারবার ভাবছিলাম একটা মানুষ এত নিখুঁত অভিনয় কিভাবে করে! কিভাবে পারে!”

সবশেষে কনকচাঁপা লিখেছেন, ‘সত্যিই আমরা গর্বিত হতে পারি যে, আমাদের একজন শাবনূর আছেন, যার নামের আগে-পিছে কোনো বিশেষণ লাগে না।’

 

শামীম/এম. জামান

আর্কাইভ