প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১, ০৫:৪৫ পিএম
মাদককাণ্ডে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের আটকের ঘটনা ক্রমেই জটিল আকার
নিচ্ছে। ঘুষের বিনিময়ে আরিয়ান খানকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এজন্য এক সাক্ষীর মাধ্যমে ২৫
কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (এনসিবি)
কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে।
এমন অভিযোগ সামনে আসার পর থেকে তোলপাড় মুম্বাই। এরই মধ্যে দিল্লিতে হাজির হলেন
সমীর। ফলে জল্পনাকে আরও তুঙ্গে নিয়ে গেছে। তবে কি সত্যিই সমীরকে তলব করা হয়েছে? তবে এমন জল্পনা সরাসরি অস্বীকার করেছেন এনসিবির এই কর্মকর্তা।
দিল্লি বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। বলেন, ‘কোনও তলব নয়, কিছু কাজের জন্য দিল্লিতে এসেছি।’ তিনি আরও
বলেন, ‘আমি একশ ভাগ তদন্তের জন্য রাজি। আমার বিরুদ্ধে
মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’
অভিযোগ ওঠার পরই সমীরের বিরুদ্ধে তদন্তে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে
এনসিবির ডেপুটি জেনারেল ডিরেক্টের জ্ঞানেশ্বর সিংহকে। তারপর থেকে জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি সমীরকে এ মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে? যদিও সে বিষয়ে জ্ঞানেশ্বর কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শুধু জানিয়েছেন, তদন্ত কেবল শুরু হয়েছে। এনসিবি এবং জ্ঞানেশ্বরের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত
প্রতিবেদনও চাওয়া হয়।
এ বিষয়ে বৈঠকের জন্য দিল্লিতে যাওয়ার কথা ছিল সমীরের। সোমবার (২৫ অক্টোবর)
দিল্লিতে হাজির হতেই জোর জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি
তদন্তের জন্য এনসিবি কর্মকর্তাকে ডেকে পাঠানো হলো? সমীরের বিরুদ্ধে
অভিযোগকে আরও জোরালো করতে আরিয়ানের মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেইল সোমবারই
পুলিশ কমিশনারের দফতরে যান। তার দাবি, আরিয়ানকে ছেড়ে
দেওয়ার জন্য সমীরই ২৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন।
যদিও এনসিবি সমীরের পাশেই দাঁড়িয়েছে। তার কাজের রেকর্ডে কোনও ‘দাগ’ নেই বলেও
জানিয়েছেন তারা। কিন্তু মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের সঙ্গে ওয়াংখেড়ের
টানাপোড়েন এনসিবি কর্মকর্তার সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করছেন
বিশেষজ্ঞরা। মাদক মামলাকে সম্পূর্ণ ভুয়া বলে অভিযোগ তুলেছেন মালিক। শুধু তাই নয়, বিজেপি এবং এনসিবি একসঙ্গে যুক্ত হয়ে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করছে
বলেও অভিযোগ তার। ওয়াংখেড়ের জন্ম-সংক্রান্ত একটি তথ্য টুইট করে মালিক দাবি করেছেন, প্রতারণা শুরু এখান থেকেই।
মালিক যখন একের পর এক অভিযোগ তুলেছেন এনসিবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, পাল্টা সমীর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে, আমার পরিবারের গোপনীয়তা ভাঙার চেষ্টা চলছে। ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে, আমার পরিবার, বাবা এবং স্বর্গীয় মাকেও বদনাম করার প্রচেষ্টা চলছে।’ তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে, এ আশঙ্কায় তিনি আদালতের শরণাপন্নও হয়েছেন। সমীরের অভিযোগ, মন্ত্রীর এ ধরনের আচরণে তার পরিবার অত্যন্ত মানসিক চাপে রয়েছে।
শামীম/এএমকে