• ঢাকা সোমবার
    ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আরিয়ানকে মুক্তি দিতে ২৫ কোটি টাকার লেনদেন!

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২১, ১২:০১ এএম

আরিয়ানকে মুক্তি দিতে ২৫ কোটি টাকার লেনদেন!

বিনোদন ডেস্ক

আরিয়ান খানের মাদককাণ্ডের ঘটনা ক্রমে জটিল আকার নিচ্ছে। মাদককাণ্ড থেকে তাকে রেহাই দিতে ২৫ কোটি টাকার লেনদেন হতে চলেছে, সে কথা নিজের কানে শুনেছিলেন প্রভাকর সইল। তার মধ্যে আট কোটি টাকা মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনসিবি-র কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়া হবে, তা-ও তিনি জেনেছিলেন বলে আবারও দাবি করেছেন। মাদক মামলার অন্যতম সাক্ষী সইল মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) একটি সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন, পুরো কথোপকথনটির প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। চাইলে সেই প্রমাণ তিনি প্রকাশ্যে আনতে পারেন।

বেসরকারি গোয়েন্দা কেপি গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সইল সোমবার একটি হলফনামা পেশ করে জানান, তিনি ভুলবশত গোসাভির একটি কথোপকথন শুনে ফেলেছিলেন। যেখানে জনৈক শ্যাম ডি’সুজাকে গোসাভি বলছেন, ‘আট কোটি যাবে এনসিবি-র জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের কাছে।’ সইলের দাবি, ওই কথোপকথনে আরিয়ানকে মাদক মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকার লেনদেনের কথাও বলেছিলেন গোসাভি। সইল জানিয়েছেন, তিনি টাকার লোভে বা রাজনৈতিক চাপে পড়ে এ কথা বলেননি। তার হাতে প্রমাণ আছে। গোসাভি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেই তিনি সেই প্রমাণ প্রকাশ্যে আনবেন।

সমীরকে ৮ কোটি টাকা দেওয়া নিয়ে সইলের অভিযোগ অস্বীকার করেছিল এনসিবি। সমীরের কলঙ্কমুক্ত কর্মজীবনের কথা জানিয়ে এনসিবি বলেছিল, সইল টাকার লোভে বা অন্য কোনো কারণে মিথ্যে বয়ান দিচ্ছেন। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে এনসিবি-র সেই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন সইল।

সইল বলেন, ‘গোসাভি আমাকে কোনো টাকা দেননি। গত ৬ সেপ্টেম্বর আমার মেয়ের জন্মদিনে বেতনের ছ’হাজার টাকা দিয়েছিলেন গোসাভি। পরে দু’দফায় ১৫ হাজার এবং তিন হাজার টাকা দেন। এ ছাড়া আমি কোনো টাকা নিইনি। কোনো মন্ত্রী আমাকে চাপ দেননি। আমি যা জেনেছিলাম, তা অভিযোগ হিসেবেই মুম্বাইয়ের শহর থানায় জানাই। এর পর গোসাভি আত্মসমর্পণ করলে বাকি কথা বলব।’

প্রসঙ্গত, এই গোসাভির সঙ্গেই শাহরুখ-তনয়ের একটি সেলফি আরিয়ানের গ্রেফতারের পর ভাইরাল হয়েছিল। সইল হলফনামায় জানিয়েছেন, আরিয়ানের গ্রেফতারের পর শাহরুখ খানের ম্যানেজারের সঙ্গে ‘গোপনে’ বৈঠকও করেছিলেন এই গোসাভি।

জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)-র কর্তা সমীরের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকালেই আবার অনিয়মের অভিযোগ আনেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। তিনি বলেন, তথাকথিত ‘ঝকঝকে কর্মজীবন’-এর আড়ালে সমীর বহুবার নিয়ম ভেঙেছেন। সমীরের পর পর নিয়ম ভাঙার ঘটনাকে ‘স্পেশাল ২৬’ বলেও কটাক্ষ করেছেন নবাব। এই মর্মে একাধিক টুইট করেন নবাব।

অন্যদিকে, সোমবার রাতে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় সমীরকে। মঙ্গলবার সকালে দিল্লির এনসিবি দফতরে যান সমীর। কেন তাকে জরুরি তলব করা হল, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে মাদক-মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন সমীর। শুধু বলেছেন, ‘কোনো তলব নয়, কিছু কাজের জন্য দিল্লিতে এসেছি। আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হলে আমি একশো শতাংশ সেই তদন্তে সহযোগিতা করব। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’

 

শামীম/ডাকুয়া

আর্কাইভ