• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

‘বর্তমান’ দিয়ে শুরু, অতীত এখন শিমু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২, ১২:২১ এএম

‘বর্তমান’ দিয়ে শুরু, অতীত এখন শিমু

বিনোদন ডেস্ক


নির্মমভাবে হত্যার শিকার অভিনয়শিল্পী রাইমা ইসলাম শিমুকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ৮টায় গ্রিন রোডের স্টাফ কোয়ার্টারে জানাজা শেষে সাড়ে ৯টার দিকে তাকে দাফন করা হয়েছে। তার দাফনের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন তার ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন।

তবে শিমু মৃত্যুর আগে বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করলেও একটা সময় দর্শক তাকে ভুলে যেতে থাকে। আস্তে আস্তে প্রধান চরিত্র থেকে পার্শ্বচরিত্রে নিয়মিত হন তিনি। তবে অনেকেই জানেন না শিমুর ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রা শুরু হয়েছিল কার হাত ধরে।  

ঢাকাই চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় অভিনেতা আসলাম তালুকদার মান্নার হাত ধরে স্বপ্নের রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটেছিল চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকের অভিনয়শিল্পী রাইমা ইসলাম শিমুর। দুই দশকের ক্যারিয়ারে দুই ডজনের বেশি সিনেমায় অভিনয় করা এই অভিনেত্রীর জীবনপ্রদীপ নিভে গেল নির্মম হত্যাকাণ্ডে। বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়ার মেয়ে শিমু দুই যুগ আগে রুপালি পর্দার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন। কৈশোরে এফডিসির অলিগলি ঘুরতে ঘুরতে মান্নার কল্যাণে কাজী হায়াতের ‘বর্তমান’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে যান।

১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া সেই সিনেমায় মান্নার ছোট বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন কিশোরী শিমু। পরে কাজী হায়াতের আরেকটি সিনেমায় কাজ করেন তিনি। ‘বর্তমান’ সিনেমায় মান্না ও শিমুর মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন আনোয়ারা। এ ছাড়া মৌসুমী, ডিপজল, মিজু আহমেদ, কাবিলাসহ অনেকে অভিনয় করেন।

পরে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ কয়েকজন পরিচালকের প্রায় দুই ডজন সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে দেখা যায় শিমুকে। মান্না ছাড়াও শাকিব খান, রিয়াজের মতো তারকা শিল্পীদের সঙ্গে তিনি কাজ করেন।

এদিকে ‘জামাই শ্বশুর’ সিনেমায় অমিত হাসানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জামাই শ্বশুর’ সিনেমায় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার বড় বোনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকমহলে বেশ পরিচিতি পান তিনি। এক সময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর মৃত্যুতে সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহযোগী সদস্য ছিলেন শিমু। ২০১৭ সালে পূর্ণ সদস্যপদ হারানোয় সমিতির ভোটাধিকার হারান এ অভিনয়শিল্পী। পূর্ণ সদস্যপদ ফিরে পেতে সবশেষ দুই বছরে এফডিসিতে বিভিন্ন বিক্ষোভ সমাবেশে শামিল হয়েছিলেন তিনি। শিল্পী সমিতির ক্ষমতায় থাকা মিশা সওদাগর-জায়েদ খানদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তবে মিশা-জায়েদ খান বরাবরই তাদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।


এমএএম/এম. জামান
আর্কাইভ