• ঢাকা রবিবার
    ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

চিকিৎসার মান অনুযায়ী হাসপাতালের ক্যাটাগরি নির্ধারণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ১২:৩৭ এএম

চিকিৎসার মান অনুযায়ী হাসপাতালের ক্যাটাগরি নির্ধারণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চিকিৎসার মান অনুসারে হাসপাতালের ক্যাটাগরি নির্ধারণ করে দেয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এমন তথ্য দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে হাসপাতালের সংখ্যা অনেক হয়েছে, এখন সেবার মান বাড়াতে চাচ্ছি। যে হাসপাতালে যে চিকিৎসা দেয়ার কথা বলে জনগণ জানে, তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

‘হার্ট ফাউন্ডেশনে হার্টের চিকিৎসা বেশি হয়ে থাকে, আবার জেনারেল হাসপাতালে সব ধরণের সেবা কম-বেশি থাকে। বিশেষায়িত সেবা যেখানে দেয়া হয়, সেখানে অন্য সেবা বেশি থাকে না। মানুষ যাতে সঠিক স্থানে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা নিতে পারেন; তা মাথায় রাখতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।

কেন ক্যাটাগরি করে দেয়া হচ্ছে- সেই ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের সঠিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাটাগরি হবে এ, বি, সি আকারে। হাসপাতালের মান ও সেখানে কোনো ধরনের সেবা দেয়া হয়, মানুষ যাতে তা সহজে জানতে পারেন, এমন একাধিক কারণেই ক্যাটাগরি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে চিকিৎসার ব্যাপারে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনাও সজাগ থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘ক্যাটাগরি দেখেই হাসপাতালে সেবা  নিতে যাবে জনগণ। পাশাপাশি হাসপাতালে যে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়ে থাকে, তার মূল্যও আমরা নজরে আনতে পদক্ষেপ নিচ্ছি। সব হাসপাতালের চিকিৎসামূল্য এক রকম হবে না। যাদের বড় হাসপাতাল, বড় বিনিয়োগ, সুযোগ-সুবিধা ও মান যাদের ভালো, সেখানে মূল্যটা একটু বেশি হবে।’

‘চিকিৎসকদের প্রাতিষ্ঠানিক প্রাকটিসের ওপরও আমরা জোর দিচ্ছি। আমরা এ সংক্রান্ত কাজ করে যাচ্ছি। একটি পাইলট স্কিম হিসেবে আগামী মার্চ থেকে এটা শুরু হবে,’ জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ যাতে যথাযথমূল্যে কাঙ্ক্ষিত সেবা পান, তা নিশ্চিত করতেই এসব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

এতে বিদেশে না গিয়ে দেশেই চিকিৎসা নিতে সবাই উৎসাহিত হবেন বলে জানান জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের মান বৃদ্ধি ও আস্থা অর্জন করতে না পারলে মানুষকে বিদেশ যাওয়া থেকে বিরত রাখা যাবে না।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক প্রাকটিস বলতে বোঝায়, কর্মস্থলে সরকারি চিকিৎসকদের দায়িত্ব পালন শেষে একই প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত সময়ে তারা চেম্বার করতে পারবেন। সরকারের নির্ধারণ করে দেয়া ফি-তে রোগী দেখবেন তারা।’

তিনি জানান, আমাদের মোট বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭২৬টি। তার মধ্যে হাসপাতাল আছে চার হাজার ৫২৮টি। আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে ৯ হাজারের মতো। প্রাইভেট খাতে ব্লাডব্যাংক আছে ১৭৭টি।

চিকিৎসাখাতে সরকারের সফলতা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি আরও জানান, আমাদের উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে হাসপাতাল আছে। উপজেলায় হাসপাতাল আছে সাড়ে ৪০০। আর জেলা পর্যায়ে ৬৪টি। মেডিকেল কলেজ আছে ৩৭টি। স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ২২টি। আর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ও পাঁচটি হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও আছে।

জনবলের কিছু ঘাটতি আছে স্বীকার করে তিনি আশ্বাস দেন, ‘এখন জনবল বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’

 

সাজেদ/
 

আর্কাইভ