প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২৫, ১০:৪০ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে এমন তথ্য উঠে এসেছে ফরেনসিক প্রতিবেদনে। রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির কাছে প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে রাত সাড়ে ৭টার দিকে জিয়ামোড় থেকে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভে করে শিক্ষার্থীরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সাজিদের শরীরে পানিতে ডুবে মৃত্যুর কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলা হয়েছে।’ ময়নাতদন্তে মৃত্যুর সময় সম্পর্কে জানানো হয়েছে, ‘ময়নাতদন্তের প্রায় ৩০ ঘণ্টা আগে তার মৃত্যু হয়।’
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের— “খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনিদের ক্ষমা নাই”, “তুমি কে, আমি কে? সাজিদ, সাজিদ”, “সাজিদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না”, “খুনিদের ফাঁসি চাই”, “আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব দে।” — স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, “ফরেনসিক রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে— সাজিদকে পানিতে ফেলার আগেই হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা এ ঘটনার দ্রুত বিচার ও হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করছি। যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থী এভাবে প্রাণ না হারায়, হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলসংলগ্ন পুকুর থেকে সাজিদ আব্দুল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
