• ঢাকা রবিবার
    ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

নেপালে বিমান দূর্ঘটনা যতো

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩, ১১:৫০ পিএম

নেপালে বিমান দূর্ঘটনা যতো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নেপালে বিমানদূর্ঘটনা নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগেও বহুবার এখানে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রানহানি ও হয়েছে প্রচুর। ৩০ বছরে সেখানে ২৭ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১০ টি ছিলো বড় দূর্ঘটনা। এত ঘণ ঘণ দুর্ঘটনা ঘটছে যে সেদেশে বিমান চড়ায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জনমনে। এবার পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে পাহাড়ি নদী-তীরে ভেঙে পড়ল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান। যাতে ছিলেন ৬৮ জন যাত্রী এবং ৪ জন বিমানকর্মী। বিমানটি ভেঙে পড়ার ১০ সেকেন্ড আগেই আগুন ধরে যায়। ফলে একজনও যাত্রী বেঁচে নেই বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৬৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।

মে ২০২২: তারা এয়ার ওয়েজের জেট বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গত বছরের ৩০ মে। সময় অতিক্রান্ত হলেও গন্তব্যে না পৌঁছানোয় খোঁজ পরে বিমানের। শুরুতে হদিশ মেলেনি। পরে ২২ জন বিমান যাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। এদের মধ্যে ৪ জন ছিলেন ভারতীয়।

মার্চ, ২০১৮: ভয়ংকর দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়ান। ২০১৮ সালের ১২ মার্চের ঘটনা। ৭১ জন যাত্রী ছিলেন বিমানে। মৃত্যু হয় ৫১ জনের। বাকিরা কোনও মতে বেঁচে যান।

সেপ্টেম্বর, ২০১২: দুর্ঘটনায় পড়ে সীতা এয়ারের ফ্লাইট ৬০১। বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে লুকলা যাচ্ছিল। যাত্রী-সহ বিমানে ছিলেন ২১ জন। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৯ জনের।

সেপ্টেম্বর, ২০১১: ললিতপুরে ভেঙে পড়ে বুদ্ধা এয়ারের উড়ান ১০৩। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় জরুরি আবতরণের চেষ্টা করেন পাইলট। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। বিমানে ছিলেন ১৯ জন। সকলের মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ২০১১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরের। এদের মধ্যে ১০ জন ছিলেন ভারতীয়।

আগস্ট, ২০১০: নেপালের অগ্নি এয়ারওয়েজের বিমানে দুর্ঘটনা ঘটে। ২০১০ সালের ২৪ আগস্টের দুর্ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

অক্টোবর, ২০০৮: রবিবারের মতোই সেটি ছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান। পূর্ব নেপালের লুকলার তেনজিং-হিলারি বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। দিনটা ছিল ২০০৮ সালের ৮ অক্টোবর। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৪ জনের।

সেপ্টেম্বর, ২০০৬: পূর্ব নেপালে নজিরবিহীন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মাঝ আকাশে একটি চার্টাড উড়ানের সঙ্গে একটি হেলকপ্টরের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

জুলাই, ২০০০: রয়্যাল নেপাল এয়ারলাইন্সের উড়ানে দুর্ঘটনা। নেপালের বাঝং বিমানবন্দর থেকে নেপালেরই ধনগাধি বিমানবন্দরে যাচ্ছিল বিমানটি। মাঝপথে ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় বিমানে সওয়ার ২৫ জনের।

সেপ্টেম্বর, ১৯৯২: গোটা পৃথিবীতে এত বড় বিমান দুর্ঘটনা কম ঘটেছে। কাঠমান্ডুতে অবতরণের আগে ভেঙে পড়েছিল পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বিমানটি। বিমানে ছিলেন ১৬৭ জন যাত্রী। সকলেরই মৃত্যু হয়। পাকিস্তান এবং নেপালের ইতিহাসে সব থেকে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।

জুলাই, ১৯৯২: অবতরণের আগে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় থাই এয়ারওয়েজের বিমানটি। কারণ ছিল বিমান চালকের ইংরেজি না জানা। তিনি বিমনের সমস্যার কথা জানালেও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ভাল ইংরেজি জানতেন না। এর ফলেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। মৃত্যু হয় বিমানে থাকা ১১৩ জনের। এই দুর্ঘটনার পর কর্মীদের ভাষা শিক্ষায় জোর দেওয়া হয়।

 

কিউ/এনএমএম

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ