• ঢাকা রবিবার
    ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদিতে হজযাত্রীদের বিনামূল্যে সেবা-পরিষেবা দেন যারা

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩, ০২:০৪ এএম

সৌদিতে হজযাত্রীদের বিনামূল্যে সেবা-পরিষেবা দেন যারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মুসলিম নারী-পুরুষ সৌদি আরবে যান হজ করতে। দেশটির অভ্যন্তরের কয়েক লাখ মানুষও হজ করেন প্রত্যেক বছর।

সৌদি নাগরিকদের অনেকেই দেশীয় এবং বাইরে থেকে আসা হজযাত্রীদের বিনামূল্যে বিভিন্ন সেবা-পরিষেবা প্রদান করে থাকেন। এই ধরনের স্বেচ্ছাসেবীর কাজ তারা করেন কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়।

আয়াদ আল জারহাদি গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সৌদি হজযাত্রীদের পরিবহন সেবা দিয়ে আসছেন। নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে সৌদির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী শহর আরার থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে আসেন জারহাদি এবং এজন্য তাদের কাছ থেকে কোনো অর্থ নেন না।

সৌদি টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়াকে আয়াদ আল জারহাদি বলেন, ‘আমি কেবলমাত্র বয়স্ক ও নারী হজযাত্রীদের পরিবহন সেবা দিয়ে থাকি এবং এর বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে কোনো অর্থ নিই না। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গত ৩০ বছর ধরে আমি এ কাজ করছি।’

সৌদি আরবে হজযাত্রীদের ‘আল্লাহর অতিথি’ বলা হয়। হজযাত্রীদের কোনো প্রকার উপকার বা বিনামূল্যে সেবা-পরিষেবা প্রদান করা হলে অনেক সওয়াব বা পূণ্য পাওয়া যায় বলেও বিশ্বাস করেন অনেক সৌদি।

 সৌদি ব্যবসায়ী ফাহাদ আল হামলি তার খামারবাড়িতে প্রতি বছর বিনা পয়সায় শত শত হজযাত্রীকে খাবার ও বিখ্যাত সৌদি কফি দিয়ে আপ্যায়ন করেন।

‘সুপ্রাচীন কাল থেকেই অতিথিপরায়ন জাতি হিসেবে আরবরা পরিচিত। সেই ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান রেখেই আমি প্রতি বছর এই আয়োজন করি,’ আল আরাবিয়া টিভিকে বলেন ফাহাদ।

সম্প্রতি ফাহাদের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে— রাশিয়া থেকে আগত হজযাত্রীদের একটি দলকে আপ্যায়ন করছেন তিনি।

ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হজ। এই ধর্মের বিধান অনুযায়ী প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ও সামর্থবান মুসলিম নর-নারীর জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ করা ফরজ বা আবশ্যিক।

প্রাচীনকালে হজযাত্রা অনেক বিপদসঙ্কুল, দীর্ঘ ও কষ্টসাধ্য ছিল। এ কারণে হজযাত্রীদের যারা সেবা করেন— তাদের মর্যাদা ইসলামে অনেক ওপরে।

 

বিএস/

আর্কাইভ