প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩, ০৬:৫০ পিএম
বাইরের সাহায্য ছাড়া কোনোভাবেই খোলা যায় না টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিনটির দরজা। এমন তথ্যই জানিয়েছেন, ওশেনগেট এক্সপিডিশনের টাইটান সাবমারসিবলে করে ঘুরে আসা সিবিএস নিউজের সাংবাদিক ডেভিড পোগ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ডেভিড পোগ নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে টাইটান সম্পর্কে এ কথা জানান। পোগ জানান, সাবমারসিবলটির ভেতরে যারা আছেন তাদের পক্ষে বাইরের সাহায্য ছাড়া বের হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না।
সিবিএস নিউজের এই সাংবাদিক বলেন, ‘সাবটিতে কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেই, নেই কোনো জরুরি নির্গমন ব্যবস্থা। তাই আপনাকে বাঁচতে হলে হয় উঠে আসতে হবে নয়তো মরতেই হবে।’
বিবিসিকে ডেভিড পোগ জানান, তিনি গতবছর ওশেনগেট এক্সপিডিশনের একটি সাবে করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েছিলেন। উদ্ধার তৎপরতা প্রসঙ্গে ডেভিড পোগ জানান, সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার অভিযান কঠিন হয়ে পড়বে।
এদিকে, মার্কিন কোস্ট গার্ডের অনুমান সাবমেরিনটিতে মাত্র ৭০ ঘণ্টার অক্সিজেন অবশিষ্ট রয়েছে। মার্কিন কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মগার বলেছেন, ‘আমরা অনুমান করছি যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মাত্র ৭০ ঘণ্টা চলার মতো অক্সিজেন মজুত রয়েছে সাবমেরিনটিতে। যেখানে এর সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন।’
রিয়ার অ্যাডমিরাল উদ্ধার তৎপরতা বিষয়ে বলেন, দুটি বিমান, একটি সাবমেরিন এবং সোনার বয়া নিখোঁজ সাবমেরিনটির অনুসন্ধানে জড়িত রয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধান এলাকা তীর থেকে বেশ দূরে হওয়ায় অনুসন্ধান কঠিন হয়ে পড়েছে।
সমুদ্রের প্রায় ৩৮০০ মিটার বা ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে পড়ে আছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। ছোট আকারের সাবমেরিনে করে পর্যটকরা প্রায়ই সেখানে ওই ধ্বংসাবশেষ দেখতে যান। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশেনগেট এক্সপিডিশন পর্যটকদের আটলান্টিকের তলদেশে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে থাকে।
ধ্বংসস্তূপের কাছে যাওয়ার জন্য কয়েক দিনের ভ্রমণে হাজার হাজার ডলার ব্যয় হয়। ৮দিনের ভ্রমণের জন্য একজন যাত্রীর কাছে থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার নিয়ে থাকেন প্রতিষ্ঠানটি।
জেকেএস/