• ঢাকা বুধবার
    ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

যে কারণে ইরাকের ১৪ ব্যাংককে নিষিদ্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৩, ০৬:২৬ পিএম

যে কারণে ইরাকের ১৪ ব্যাংককে নিষিদ্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরাকের ১৪টি ব্যাংককে নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিষিদ্ধ ওই ব্যাংকগুলো এখন থেকে মার্কিন ডলার লেনদেন করতে পারবে না। ইরানে মার্কিন মুদ্রা পাচারের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৪টি ইরাকি ব্যাংককে ডলার লেনদেন করতে যুক্তরাষ্ট্র নিষিদ্ধ করেছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বুধবার মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এবং ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং এটি ইরানে মার্কিন মুদ্রা পাচারের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউনের অংশ।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ইরাকি ব্যাংকগুলো অর্থ পাচার এবং জালিয়াতিমূলক লেনদেনে জড়িত বলে তথ্য পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব ইরাকি ব্যাংকের মধ্যে কয়েকটি ব্যাংকে আবার নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যুক্ত থাকতে পারে এবং এতে ইরান লাভবান হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রভাবশালী এই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আমাদের সন্দেহ করার জোরালো কারণ রয়েছে যে, পাচারকৃত এই তহবিলের মধ্যে অন্তত কিছু অর্থ চিহ্নিত ব্যক্তিদের উপকৃত করতে পারে অথবা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারে। এবং অবশ্যই ইরাকে প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞার এই ঝুঁকি ইরানের সঙ্গে সম্পর্কিত।’

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে আল মুস্তাশার ইসলামিক ব্যাংক, এরবিল ব্যাংক, ওয়ার্ল্ড ইসলামিক ব্যাংক এবং জাইন ইরাক ইসলামিক ব্যাংক রয়েছে বলে সংবাদপত্রটি উল্লেখ করেছে।

অবশ্য এ বিষয়ে জানতে ইরাকের প্রাইভেট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এছাড়া ইরাকি সরকার, মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এবং নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকও তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং এই নিষেধাজ্ঞার কারণেই বিশ্বের বহু দেশে থাকা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পদে প্রবেশ করতে পারছে না তেহরান।

যুক্তরাষ্ট্র বেশ জোর দিয়েই চায়, ইরানের ওপর নির্ভরশীলতা নয়, তেল সমৃদ্ধ ইরাক স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে এগিয়ে যায়। আর তাই প্রতিবেশী ইরানে ডলারের প্রবাহ বন্ধ করতে ইরাকের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে ওয়াশিংটন।

 

বিএস/

আর্কাইভ