• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের আহ্বান

ভারত শিগগির সামরিক অভিযান চালাতে পারে, ইসলামাবাদের নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য

প্রকাশিত: মে ১, ২০২৫, ০২:১২ পিএম

ভারত শিগগির সামরিক অভিযান চালাতে পারে, ইসলামাবাদের নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সপ্তম দিনের মতো চলছে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানে উত্তেজনা। ভারত শিগগির সামরিক অভিযান চালাতে পারে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে ইসলামাবাদের কাছে ‘নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য’ রয়েছে। 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) এমন তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্স

কাশ্মীরে বন্দুক হামলার ঘটনায় পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলছে। এ অবস্থায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ যুক্তরাষ্ট্রর কাছে আর্জি জানিয়েছেন, ভারতকে যেন উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান বন্ধ এবং দায়িত্বশীল আচরণ করতে চাপ প্রয়োগ করা হয়। 

বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক রুবিও ভারত ও পাকিস্তানে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছেন।

ভারতীয় কর্মকর্তারা এবং কাশ্মীরের হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেন, ইসলামপন্থি হামলাকারীরা প্রথমে পুরুষদের আলাদা করে। পরে হিন্দুদের চিহ্নিত করে একের পর এক গুলি চালায়। একে ২৬ জন নিহত হয়।  

ভারত দাবি করছে হামলাকারীদের মধ্যে তারা তিনজনকে চিহ্নিত করেছে। যারা পাকিস্তানের নাগরিক। তবে পাকিস্তান ভারতের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। 

হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাশ্মীরে হামলা চালাতে অর্থের যোগান ও সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেওয়ার অভিযোগ করে আসছে। উভয় দেশই হিমালয়ের এই অঞ্চলকে নিজেদের দাবি করে। তবে দুই দেশই এর একাংশ শাসন করে আসছে।

অন্যদিকে ইসলামাবাদ বলছে, তারা শুধু মাত্র কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবির প্রতি নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান করে। 

ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তানের জন্ম হয়। সবশেষ কাশ্মীরে হামলায় ঘটনায় ভারত সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।

পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য আছে, ভারত পেহেলগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের ওপর মিথ্যা দায় চাপিয়ে আগামী ২৪ অথবা ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলা চালাতে পারে। 

তবে এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। 

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ