
প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
চরম উত্তেজনার চার দিন পর আজাদ কাশ্মীরের গ্রামগুলোতে রোববার কিছুটা শান্তি ফিরেছে। বাসিন্দারা আবার নিজেদের বিছানায় ফিরলেও, বাংকারগুলোতে রসদ রেখে দিয়েছেন প্রস্তুত অবস্থায়।
সোমবার (১২ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দুনিয়া নিউজ।
পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে প্রবল সংঘর্ষে কয়েক দিনে ডজনখানেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শেষপর্যন্ত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর বহু বছর ধরে গুলি ও মর্টারের আওয়াজে অভ্যস্ত মানুষজন আপাতত নিজেদের বাড়িতে ফিরেছেন। তবে আশঙ্কা কাটেনি কারও।
চাকোঠির বাসিন্দা কালা খান বলেন, ‘ভারতের ওপর আমার কোনো বিশ্বাস নেই। আবারও হামলা হবে বলেই আমি মনে করি। এই এলাকায় বসবাসরতদের জন্য বাড়ির পাশে একটি করে বাংকার থাকা জরুরি।’
চাকোঠি এলাকা নীলম নদীর তীরে, যেটি দুই দেশের মধ্যে প্রাকৃতিক সীমানা তৈরি করেছে। এখান থেকেই ভারতীয় সামরিক চৌকি দেখা যায়। কালা খানের আট সদস্যের পরিবার বিগত কয়েক রাত ও দিনের কিছু অংশ ২০ ইঞ্চি পুরু কংক্রিট ছাদের নিচে নির্মিত দুটি বাংকারে কাটিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যখনই ভারতীয় গোলাবর্ষণ শুরু হতো, আমি পরিবারকে নিয়ে বাংকারে চলে যেতাম।’ সেখানে তারা বিছানাপত্র, চাল-আটা, অন্যান্য খাবার ও কিছু মূল্যবান জিনিসপত্রও মজুত করে রেখেছেন।
এলাকাটির এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, এলওসি বরাবর ১,০০০–এর বেশি বাংকার তৈরি হয়েছে, যার এক-তৃতীয়াংশ সরকার নির্মাণ করেছে।
চাকোঠির চারপাশে সবুজ পাহাড় আর আখরোট গাছের মাঝে ছায়াঘেরা পরিবেশ, তবে ৩০০ দোকানের অর্ধেকই বন্ধ, রাস্তাঘাট প্রায় জনশূন্য।
মুজাফফরাবাদে মোতায়েন এক উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যেখানে একটি মসজিদে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনে তিনজনকে হত্যা করেছে, রোববার সকাল থেকে নতুন করে কোনো গোলাবর্ষণের খবর নেই।