
প্রকাশিত: মে ১২, ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রাথমিকভাবে তাদের নিজেদের পণ্যের ওপর ৯০ দিনের জন্য আরোপিত ১১৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারে প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছে।
বিবিসির বাণিজ্য প্রতিবেদ জনাথন জোসেফের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে তার বাণিজ্য যুদ্ধের মাধ্যমে বৈশ্বিক অর্থনীতিকে ওলট-পালট করে দিয়েছেন, সেই প্রেক্ষাপটে ৯০ দিন অনেক দীর্ঘ সময় মনে হতে পারে।
এরপরই প্রশ্ন উঠেছে এই ৯০দিন কী দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সমাধানে যথাযথ কী-না।
এই সময়সীমা অন্তত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনা কমাতে একটি সুযোগ তৈরি করেছে।
গত জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার পর তার শুল্কনীতি বৈশ্বিক অর্থনীতি ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল।
তবে এটাও মনে রাখা জরুরি যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম চার বছরের অধিকাংশ সময় জুড়েই দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে আলোচনা চলেছিল, যার ফলাফল ছিল খুবই সীমিত।
শেষ পর্যন্ত জানুয়ারি ২০২০-এ একটি "ফেজ ওয়ান ট্রেড চুক্তি" স্বাক্ষরিত হয়, যেখানে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০১৭ সালের তুলনায় অতিরিক্ত ২০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানির অঙ্গীকার করেছিল এবং মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ আইন আরও কঠোর করার ইঙ্গিত দেয়।
বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র কিছু শুল্ক হ্রাস করে। কিন্তু চীন তার আমদানির লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি এবং মেধাস্বত্ব সুরক্ষা নিয়েও এখনো অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, পরবর্তী বছরগুলোতে উভয় দেশই একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্যে আরও বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
এই বিভেদ দূর করতে বারবার ব্যর্থতা ইঙ্গিত দেয় যে, এটি কেবল বাণিজ্য নয়, বরং বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ও মৌলিক মতপার্থক্যের ইঙ্গিত।
চীনের অর্থনীতি সরকার-নিয়ন্ত্রিত নীতির ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। যা যুক্তরাষ্ট্রের মুক্তবাজার পুঁজিবাদের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ নয় বিশেষ করে যেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করেছেন, সেগুলোর প্রতিকার করতে তিনি তার বাণিজ্য যুদ্ধ ব্যবহার করছেন।