
প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেছেন। এ সময় দ্রুত নির্বাচন হলে বাংলাদেশে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহযোগী হবে বলেও মন্তব্য করেন। খবর সংবাদসমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সংবাদ সম্মেলনে কয়েক দিন আগে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘নয়াদিল্লি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে’ বলে যে অভিযোগ করেছিলেন তা নাকচ করেছেন রণধীর জয়সওয়াল।
ভারতের এই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের এসব অভিযোগ প্রকৃত সমস্যা থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা মাত্র।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার যেহেতু উদ্বিগ্ন, সেক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শাসনব্যবস্থার পূর্ণ দায়ভার তাদের সরকারের ওপরই বর্তায়। এমন পরিস্থিতিতে যদি কেউ বলেন, বাইরের কোনো শক্তি বা অন্য কেউ এই অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী, তখন এটা মনে হয় যে, আসল সমস্যাগুলো থেকে মনোযোগ সরিয়ে অন্যদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা চলছে। এই ধরনের বক্তব্য সমস্যার সমাধান করে না, বরং দায় এড়ানোর কৌশল বলেই মনে হয়।
গত রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের কারণে দেশ বড় সংকটের মধ্যে রয়েছে। এ জন্য পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার বলে প্রধান উপদেষ্টা মনে করছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এমন মন্তব্যের কয়েক দিন পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছিলেন, তিনি আলোচনা শুরু করেছেন এই কথা বলে যে আমরা অনেক বড় সংকটের মধ্যে আছি। এই সংকট বলতে উনি ভারতীয় আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রের কথা বলেছেন। ভারতীয় আধিপত্যবাদ আমাদের এই পরিবর্তনকে একেবারেই স্বীকার করতে চায় না। পারলে আমাদের এক দিনে ধ্বংস করে দিতে চায় এবং সেই জন্য যা যা করবার দরকার, সব তারা করছে। এই ছিল তার কথা।