
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২৫, ১০:৫৩ এএম
অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানের জেরে বিক্ষোভে উত্তাল চারটি দিন পার করেছে লস অ্যাঞ্জেলেস। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এ শহরটিতে চলমান এ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে ইতোমধ্যে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর দমননীতি আগুনে ঘি ঢালছে আরও; বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে নিউইয়র্ক সিটি, ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকো, ডালাসের মতো বড় শহরগুলোতেও। চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনকে। এ অবস্থায় বিক্ষোভ দমনে আরও হার্ডলাইনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন সরকার। এরই মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডাউনটাউনে কারফিউ জারি করেছেন স্থানীয় মেয়র কারেন বাস।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত থেকে এই কারফিউ কার্যকর হচ্ছে। মেয়র কারেন বাস বলেছেন, স্থানীয় সময় রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ কার্যকর থাকবে এবং সম্ভবত কয়েক দিনের জন্য চলবে। খবর সিএনএনের।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের প্রধান জিম ম্যাকডোনেল জানিয়েছেন, গত চার দিনে কমপক্ষে ৩৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে মঙ্গলবারই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২০০ জনকে।
মেয়র জানিয়েছেন, চার দিনের বিক্ষোভে ২৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট করা হয়েছে।
মূলত, যুক্তরাষ্ট্রে তথাকথিত অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে যে ধরপাকড় শুরু হয়েছে, তা ব্যাপক বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। এই বিক্ষোভ এখন আর শুধু ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও শহরে তা ছড়িয়ে পড়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ চতুর্থ দিনে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে বোস্টন, হিউস্টন এবং ফিলাডেলফিয়াসহ বিভিন্ন শহরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে ট্রাম্পের অভিবাসননীতির বিরুদ্ধে চলমান বিক্ষোভ দমনে যে চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড ও ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, তাকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। দ্রুত এ সেনাদের প্রত্যাহার দাবি জানিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন তিনি।