
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৯:৫৬ এএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি হামালায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৫৬ জন। এর মধ্যদিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলা ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ১৯২ জনে দাঁড়াল।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে এবং ৩৫৬ জন আহত হয়েছেন। যার ফলে ইসরাইলি হামলায় আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সাহায্য নিতে গিয়ে ইসরাইলি হামলায় আরও ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১১৭ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। যার ফলে সাহায্য চাইতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির মোট সংখ্যা ২ হাজার ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে এবং গত ২৭ মে থেকে ১৫ হাজার ৬৪ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহার এবং অপুষ্টিতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে উপত্যকাটিতে মানবিক সংকট আরও গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভিক্ষ-জনিত কারণে মোট মৃতের সংখ্যা ২৭১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১১২ জন শিশুও রয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের যোদ্ধারা। এদিন ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। নতুন করে শুরু করা এই অভিযানে ১০ হাজার ৬৪৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৫ হাজার ৭৩ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি উপত্যকাটিতে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও রয়েছে ইসরাইল।