
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ১১:০৪ এএম
ফিলিস্তিনের গাজা সিটিতে হামলা জোরদার করেছে ইসরাইল। শহরটির আরেকটি বহুতল ভবন ধ্বংস করেছে দখলদার বাহিনী। এছাড়া উপত্যকাটিতে হামলায় একদিনে নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৬৫ জন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা সিটির ধ্বংসযজ্ঞ আরও তীব্র করেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, শহরের আরেকটি বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে দখলদার বাহিনী। এতে গাজার সিটি দখলের অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০টি ভবন ধ্বংস করল ইসরাইলি বাহিনী।
এদিকে আল-রুয়া টাওয়ারে হামলার পাশাপাশি রোববার গাজায় আরও অন্তত ৬৫ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ৪৯ জনই ছিলেন গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা।
ইসরাইলি সেনাদের দাবি, তারা বাসিন্দাদের সরতে বলার পর ওই ভবনটিতে হামলা চালায়। এতে চারপাশে অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোও পালিয়ে যায়।
ফিলিস্তিনি এনজিও নেটওয়ার্কের প্রধান আমজাদ শাওয়া হামলার সময় ঘটনাস্থলের কাছে ছিলেন। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘অবস্থা ভয়ঙ্কর, চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শত শত পরিবার আশ্রয় হারিয়েছে। ইসরাইল এভাবে মানুষকে দক্ষিণে সরাতে চাইছে। অথচ সবাই জানে, দক্ষিণেও কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।’
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, সেনারা ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো এবং সন্ত্রাসীদের উচ্চ ভবন’ ধ্বংস করছে। তবে আল-রুয়া টাওয়ার ছিল পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি ভবন, যেখানে ২৪টি অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান, একটি ক্লিনিক ও জিম ছিল। এর আগে ইসরাইল হামলা চালায় আল জাজিরা ক্লাব এলাকায়, যেখানে তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এর আগে গত শনিবার ১৫ তলা সউসি টাওয়ার এবং গত শুক্রবার ১২ তলা মুশতাহা টাওয়ারে হামলার পর আশ্রয় হারানো পরিবারগুলোর অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। সউসি টাওয়ার ধ্বংসের পর এক পরিবার জানায়, ‘আমাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। আমরা কিছু নিতে পারিনি। আধা ঘণ্টা পরেই ভবনটিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।’
এর আগে গত আগস্টে ইসরাইলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করে। নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপে ইতোমধ্যেই ১ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।