
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ১১:০৪ এএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা জোরদার করেছে ইসরাইলি বাহিনী। দখলদার বাহিনীর হামলায় একদিনেই আরও ৫২ জন নিহত হয়েছেণ। একইসঙ্গে ক্ষুধায় আরও দুই শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা শহরের বাসিন্দাদের ‘এখনই চলে যেতে’ হুমকি দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক প্রধান বেসামরিক মানুষকে ‘গণহত্যা’ এবং জীবনরক্ষাকারী সহায়তা সরবরাহ ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে ইসরাইলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক অভিযোগ করে বলেন, ইসরাইল ‘একটির পর একটি যুদ্ধাপরাধ’ করছে এবং গাজার ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা ‘বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিচ্ছে’।
তিনি আরও বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) জবাবদিহি করার মতো যথেষ্ট কারণ আছে। গত জানুয়ারিতে আদালত ইসরাইলকে গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিল।
ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, রোববার সকাল থেকে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৫০টিরও বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং আরও ১০০টির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল অভিযোগ করেন, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে বাস্তুচ্যুত পরিবারের শিবিরসংলগ্ন আবাসিক ভবনগুলোতে আঘাত হানছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০টিরও বেশি তাঁবু ধ্বংস হয়েছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ গাজা শহর থেকে জানিয়েছেন, ‘একটির পর একটি সুউচ্চ ভবন ভেঙে পড়তে দেখা হৃদয়বিদারক। এগুলো শুধু ভবন নয়, এর সঙ্গে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য জরুরি সেবাগুলোও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, সেটিও আবার যুদ্ধের প্রায় দুই বছর পরও।’
আল জাজিরাকে স্থানীয় হাসপাতালগুলো জানিয়েছে, সোমবার একদিনেই অন্তত ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে ৩২ জন প্রাণ হারিয়েছেন গাজা শহরের।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে, যাদের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে। ইসরাইল নিয়মিতভাবে সাহায্য ঠেকানো বা বোমা হামলা করায় এ মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।
চিকিৎসকরা জানান, সোমবার ইসরাইলি হামলায় নিহতদের মধ্যে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ওসামা বালউশাও রয়েছেন।