• ঢাকা রবিবার
    ০২ নভেম্বর, ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল, ত্রাণ প্রবেশে কঠোর বাধা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৫, ০৯:৪৯ এএম

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল, ত্রাণ প্রবেশে কঠোর বাধা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সই হওয়া যুদ্ধবিরতি ঠুনকো প্রমাণ করে গাজায় অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলি হামলা, পাশাপাশি প্রতিশ্রুত ত্রাণের প্রায় ৭৫ শতাংশই আটকে রেখেছে দেশটি। এতে গাজায় হতাহতের সংখ্যা ও মানবিক সংকট বাড়ছে। রোববার (২ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

গাজা সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও মোট ৩ হাজার ২০৩টি বাণিজ্যিক ও ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। দৈনিক হিসেবে গড়ে মাত্র ১৪৫টি ট্রাক প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে, যা চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত দৈনিক ৬০০ ট্রাকের মাত্র ২৪ শতাংশ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ত্রাণ ও বাণিজ্যিক পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে বাধা দিচ্ছে। এর ফলে ২৪ লাখেরও বেশি মানুষের মানবিক সংকট ভয়াবহভাবে বেড়েছে। আর এর দায় সম্পূর্ণ ইসরায়েলের।” 

গাজা কর্তৃপক্ষ কোনো “শর্ত বা বিধিনিষেধ ছাড়াই” ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে চুক্তি মধ্যস্থতাকারী, বিশেষত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে ইসরায়েলি বাহিনী শনিবারও গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস এলাকায় বিমান, কামান ও ট্যাংকের গোলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পূর্বদিকে কয়েকটি আবাসিক ভবনও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

আল জাজিরার প্রতিবেদক তারেক আবু আজজুম জানিয়েছেন, খান ইউনিসে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, “ইসরায়েলি ড্রোন আর ভারী গোলাবর্ষণে ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে।” আকাশে ড্রোনের অব্যাহত উপস্থিতি ও বোমাবর্ষণের কারণে গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২২২ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৫৯৪ জন আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক জানিয়েছেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রুট পরিবর্তনের কারণে ত্রাণ কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়েছে। ত্রাণ কনভয়গুলোকে এখন মিসরের সীমান্তঘেঁষা ফিলাডেলফি করিডর হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা দিয়ে যেতে হচ্ছে। ত্রাণ কার্যক্রম জোরদারে অতিরিক্ত সীমান্তপথ ও অভ্যন্তরীণ রুট চালুর প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।
 

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ