প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৫, ১০:০৭ এএম
দীর্ঘ প্রায় দুই বছরের যুদ্ধের পর গাজায় চলছে যুদ্ধবিরতি। তবে এখনও স্পষ্ট ইসরায়েলি আগ্রাসনের ভয়াবহতা। সর্বশেষ মধ্য গাজা সিটির ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৯৪ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার সিভিল ডিফেন্স জানায়, গাজা সিটির একটি অনানুষ্ঠানিক বা অস্থায়ী কবরস্থান থেকে ৯৪ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় এই উদ্ধারকাজ পরিচালিত হয়।
সিভিল ডিফেন্সের ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান যুদ্ধের সময় এসব মরদেহ গাজা সিটির উত্তরে আল-সাহাবা স্ট্রিটের পাশে অস্থায়ীভাবে দাফন করা হয়েছিল। পরে সেগুলো উত্তোলন করে আনুষ্ঠানিক দাফনের জন্য নির্ধারিত কবরস্থানে স্থানান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধার করা মরদেহগুলো প্রথমে আল-শিফা হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দেইর আল-বালাহ শহীদ কবরস্থানে পুনরায় দাফন করা হয়েছে বলে জানায় সিভিল ডিফেন্স।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আরও হাজার হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুদ্ধ চলাকালে কবরস্থানে পৌঁছানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ায় অনেক পরিবার তাদের স্বজনদের অস্থায়ী কবর, গণকবর, এমনকি স্কুল, হাসপাতালের আঙিনা ও রাস্তার পাশেও দাফন করতে বাধ্য হয়েছিল।
সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুদ্ধের সময় অস্থায়ীভাবে দাফন করা হাজার হাজার মরদেহ স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে এই কাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে করতে হচ্ছে, যেখানে সুরক্ষা সরঞ্জাম ও জৈবিক পরীক্ষার উপকরণের ঘাটতি রয়েছে।
এছাড়া গাজায় চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রবেশের ওপর ইসরায়েলের চলমান বিধিনিষেধ উদ্ধার ও পরিবহন কার্যক্রমকে আরও জটিল করে তুলছে এবং রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে, যদিও বিভিন্ন সময়ে তা লঙ্ঘিত হয়েছে এবং এ যুদ্ধবিরতির মধ্যেও শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।