প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৫, ০৯:২৯ এএম
গ্রিসের গাভদোস উপকূলের কাছে মাছ ধরার নৌকা থেকে উদ্ধার হওয়া ৫৩৯ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মধ্যে ৪৩৭ জনই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় লিমেনার্কিও (কোস্ট গার্ড) কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে আগিয়া গ্যালিনির দক্ষিণে সমুদ্র থেকে উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের রেথিম্নোর কিত্রেনোসি ভবনে নেওয়া হয়। সেখানে হেলেনিক কোস্ট গার্ড সদস্যদের তত্ত্বাবধানে তাদের নিবন্ধন ও পরিচয় শনাক্তকরণ করা হয়।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৪ জন নারী এবং ২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু রয়েছে। বাকিরা পুরুষ। রেথিম্নোর কোস্ট গার্ড প্রধান কিরিয়াকোস পাত্তাকোস জানান, নিবন্ধন শেষ হয়েছে। এখন প্রধান লক্ষ্য মানবপাচার চক্র শনাক্ত করা এবং অভিবাসীদের দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তর করা।
রেথিম্নো পৌরসভার উপ-মেয়র (নাগরিক সুরক্ষা) ইয়োরগোস স্কোরদিলিস বলেন, এত বড় সংখ্যক অভিবাসী সামলানোর মতো স্থানীয় অবকাঠামো নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের ঘাটতির কারণে স্থানীয় প্রশাসন চাপে পড়ছে। তিনি জানান, সোমবার ৩০০ জন অভিবাসী স্থানান্তরিত হবেন, বাকিদের পরের সপ্তাহে অন্যত্র পাঠানো হবে।
অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশি ৪৩৭ জন, পাকিস্তানি ৪৬ জন, মিসরীয় ৩৪ জন, ইরিত্রিয়ান ১২ জন (৪ নারী ও ২ শিশু), সোমালিয়ান ৫ জন, সুদানের ২ জন, ইয়েমেনের ২ জন এবং ফিলিস্তিনি ১ জন।
কোস্ট গার্ডের ধারণা, এই অভিবাসীরা লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে পাচারকারীদের মাধ্যমে অন্তত ৩৬ ঘণ্টার ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রযাত্রা করে গ্রিসে পৌঁছেছেন।
গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা জানান, এই বিষয়ে অফিসিয়ালি বাংলাদেশের দূতাবাসের কাছে এখনও কোনো তথ্য নেই।