প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
গত মে মাসে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুরে’ প্রথমবারের মতো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য স্বীকার করেছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, এ অভিযানের জেরে দেশটির নূর খান বিমান ঘাঁটির গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রোববার রাজধানী ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দার বলেন, “নূর খান বিমান ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে মাত্র ৩৬ ঘণ্টায় ৮০টি বিস্ফোরকবাহী ড্রোন নিক্ষেপ করেছিল ভারত। পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অবশ্য ৮০টি ড্রোনের মধ্যে ৭৯টিই আটকে দিতে পেরেছিল, মাত্র একটিকে আটকাতে ব্যর্থ হয়েছিল।”
তিনি বলেন, নূর খান বিমান ঘাঁটিতে হামলা করা ভারতের জন্য ভুল ছিল। কারণ এই হামলার পরই পাকিস্তান পাল্টা অভিযানের (অপারেশন বুনিয়ান উম মারসুস) সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে কখনও অপারেশন সিঁদুরের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করেনি পাকিস্তানের সরকারের কোনো মন্ত্রী। ইসহাক দারের এই বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এ ইস্যুতে আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে ইসলামাবাদ।
রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নূর খান বিমান ঘাঁটিকে পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূণ ঘাঁটি বলে মনে করা হয়।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়নি বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান ইসহাক দার।
তিনি বলেন, ১০ মে ভোরবেলায় নূর খান বিমান ঘাঁটিতে হামলার পর সকাল ৮টা ১৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তাকে টেলিফোন করে তাকে জানান যে ভারত যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত এবং নয়াদিল্লি জানতে চায় যে পাকিস্তানও যুদ্ধবিরতিতে রাজি কি না।
“আমি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বললাম, যুদ্ধে জড়ানোর কোনো ইচ্ছা পাকিস্তানের নেই”।