• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

হঠাৎ পা মচকে গেলে ভুলেও যে কাজটি করবেন না, জানুন সবিস্তরে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩, ০৪:১২ এএম

হঠাৎ পা মচকে গেলে ভুলেও যে কাজটি করবেন না, জানুন সবিস্তরে

লাইফস্টাইল ডেস্ক

পা মচকে যাওয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া খুবই সাধারণ একটি ঘটনা। যা ঘটে থাকে আমাদের নিজেদেরই অসাবধানতার কারণে। পা মচকে যাওয়া কথাটি মূলত বাংলায় ব্যবহৃত হয়। এটার মেডিক্যাল শব্দ হচ্ছে অ্যাংকল স্প্রেইন।
এই ধরনের ইনজুরিতে হাড়ের তেমন ক্ষতি হয় না তবে হাড়কে সংযুক্ত করা বিভিন্ন ধরনের লিগামেন্ট ইনজুরি হয়। এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশনের কনসালট্যান্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আহাদ হোসেন।

কারণ

>> কোনো কারণে উঁচু থেকে পা বাঁকা অবস্থায় পড়ে এ ধরনের ইনজুরি হতে পারে।

>> স্বেচ্ছায় লাফিয়ে পড়ার সময় এরকম হতে পারে।

>> খেলাধুলার সময়

>> উঁচু-নিচু জায়গায় হাঁটা বা ব্যায়াম করার সময়

লক্ষণ

>> পায়ে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়

>> পা ফুলে যায়

>> পা ফেলতে কষ্ট হয়

করণীয়

>> খেলাধুলার আগে হালকা ব্যয়াম করে, সঠিক মাপের জুতা পরে, হাই হিল জুতা পরিহার করে এবং অসমতল জায়গায় (যেমন পাহাড় উঁচু-নিচু তল) হাঁটা বা দৌড়ানোর সময় কেডস ব্যবহার করে পা মচকানোর ঝুঁকি এড়ানো যেতে পারে। যদি মচকে যায় তবে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। ব্যথা নিরাময়ের জন্য আইস প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।

>>পায়ের ফোলা ভাব কমাতে চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে ইলাস্টিক ব্যান্ডেজ দিয়ে পা পেঁচিয়ে রাখতে পারেন। পা উঁচু রাখার মাধ্যমে পা ফোলা কমানো যায়। তবে কোনোভাবেই পা ম্যাসাজ করা যাবে না।

>> প্রয়োজনে তিন থেকে পাঁচ দিন ব্যথা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করতে পারেন। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না নিলে পা মচকে যাওয়া থেকে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা এমনকি পায়ের স্বাভাবিক নাড়াচাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

আর্কাইভ