• ঢাকা শনিবার
    ১৮ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

লকডাউনে যেভাবে ফিট থাকবেন নারীরা

প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২১, ১২:১৬ পিএম

লকডাউনে যেভাবে ফিট থাকবেন নারীরা

সিটি নিউজ ডেস্ক

সর্বজয়া নারী। ঘরে-বাইরে সমানতালে সামলান। ইট ভাঙা থেকে শুরু করে ফুল বিক্রি, রেলক্রসিং, স্বাস্থ্যকর্মী, আদালত, পুলিশসহ বিভিন্ন পেশার দায়িত্ব পালন করেন তারা। কর্মজীবী নারীদের কর্মক্ষেত্রে সব কাজ সুচারুভাবে তো করতেই হয়; আবার ঘরে এসেও সামাল দিতে হয় সংসারের সব।

পরিবারের ভালো-মন্দ খেয়াল রাখতে হয় নারীকেই। তাই নিজের প্রতি আর যত্নবান হয়ে ওঠা হয় না তাদের। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব চলছে। এর থেকে রেহাই পেতে সবার আগে প্রয়োজন নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা। ভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে সব বয়সী মানুষের পাশাপাশি আমাদের গৃহিণীদেরও সচেতন হতে হবে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের জীবনধারায় আসতে থাকে নানা পরিবর্তন। এ সময় কিছু অনিয়ম তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে কয়েকটি নিয়ম অনুসরণ করলে ব্যস্ত নারীরাও সহজেই ফিট থাকতে পারবেন।

সকালের নাস্তায় কোনো অনিয়ম নয় :
পরিবারের সবাইকে সময়মতো সকালের নাস্তা খাওয়ালেও গৃহিণীরা নিজের দিকে খেয়াল রাখেন না। অনেকে সকালের নাস্তা না খয়েই কাটিয়ে দেন। যা মারাত্মক একটি ভুল এবং বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী। সুস্থ এবং ফিট থাকতে সকালে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই জরুরি।

সকালের খাদ্য তালিকায় কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার, শাক-সবজি, ডিম কিংবা ফল রাখা যেতে পারে। এ ছাড়াও সারাদিনে তৈলাক্ত খাবার, অস্বাস্থ্যকর বাসি খাবার, অতিরিক্ত চিনি, ক্যালরি, ফ্যাটযুক্ত খাবার ও পানীয় যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

শারীরিক ব্যায়াম করুন :
শরীর ফিট রাখতে শারীরিক ব্যায়াম অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম আমাদের ফিট রাখতে সাহায্য করে। তাই গৃহিণীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রতিদিনকার নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের ফাঁকে ৩০ মিনিট ব্যায়ামকে অন্তর্ভুক্ত করে নিতে হবে।

ব্যায়ামের জন্য খুব সহজ কিছু কৌশল হিসেবে প্রতিদিন সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, স্কোয়াট করা, সঠিক কৌশলে বসে কাজ করা ইত্যাদির মাধ্যমে সহজেই নিজের শারীরিক সুস্থতাও নিশ্চিত করতে পারেন গৃহিণীরা।

দুশ্চিন্তা পরিহার করুন :
শুধু শরীর ফিট রাখলেই চলবে না। এর পাশাপাশি মানসিকভাবেও সুস্থ থাকা সবার জন্য জরুরি। একজন পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি মানসিক চাপে থাকেন। তাই গৃহিণীদের অতিরিক্ত মানসিক চিন্তা দূর করতে প্রতিদিন নিজের জন্য কিছু সময় রাখা উচিত।

মেডিটেশন করার মাধ্যমে অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমানো যায়। যা আপনাকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি শারীরিকভাবেও সুস্থ থাকতে অনেকটাই সাহায্য করবে।

পর্যাপ্ত ঘুমান :
সুস্থ স্বাভাবিক একজন মানুষের প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। সারাদিন কর্মব্যস্ত সময় কাটাতে হলে অবশ্যই এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। সাধারণত গৃহিণীদের তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হয়, তাই রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো উচিত। অপর্যাপ্ত ঘুম পুরো শরীরের ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করে, যার কারণে সারাদিন আপনি নিস্তেজ ও অলস বোধ করবেন।

দুপুরের পর ঘুমাবেন না :
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করার পর বেশিরভাগ গৃহিণীর দুপুরের পর ঘুমানোর অভ্যাস আছে। এই অভ্যাসটি ত্যাগ করতে হবে। কারণ দুপুরের ভাতঘুম অতিরিক্ত ওজন বাড়াতে সহায়ক।

নিজেকে উদ্দীপ্ত রাখুন :
সুস্থ ও প্রাণোজ্জ্বল থাকতে সবসময় নিজেকে নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করতে হবে। প্রতিদিন কিছু সময় নিজের জন্য বরাদ্দ রাখুন এবং লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। যা জীবনকে করে তুলতে পারে আরও সাবলীল ও ইতিবাচক।

একটি স্বাস্থ্যকর এবং সঠিক জীবনযাত্রা মেনে চললে একজন গৃহিণী তার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে তুলতে পারে। আর একজন আত্মবিশ্বাসী ও পরিপূর্ণ সুস্থ গৃহিণীই পারে তার পরিবারকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে।

সবুজ/এএমকে
আর্কাইভ