প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২১, ১১:৩২ পিএম
সচিবালয়ে
পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে
রাখার পর শাহবাগ থানায়
নেয়া হয়েছে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
রোজিনা ইসলামকে।
সোমবার
(১৭ মে) বেলা সাড়ে
তিনটার দিকে অফিসের কাজে
সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান রোজিনা। সেখানে
তার কাছে থেকে মুঠোফোন
কেড়ে নিয়ে একটি কক্ষে
আটকে রাখা হয়। একপর্যায়ে
সেখানে তিনি অসুস্থ অবস্থায়
অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
রোজিনাকে
আটকে রাখার খবর পেয়ে বিভিন্ন
গণমাধ্যম কর্মীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই ভবনে যান।
কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে রোজিনাকে
আটকে রাখার কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীরা
জানতে চাইলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কিছুই জানাননি। পরে বিকেলে সাংবাদিকরা
সচিবালয়ের বাইরে জড়ো হয়ে রোজিনা
ইসলামকে আটকে রাখার প্রতিবাদ
করেন।
এ
ঘটনায় তাকে হেনস্তা করার
অভিযোগও ওঠেছে। এ বিষয়ে সচিবালয়ে
উপস্থিত সাংবাদিকরা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেন। কিন্তু সচিবের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
পরে
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল
ইসলাম প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু নথির ছবি
তোলার অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ
করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা
পর্যন্ত রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে। পুলিশ
জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে থানায় আনা হয়েছে।
এ
দিকে রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে মারধর
করার ছবি ও ভিডিও
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে-
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা
বেগম সাংবাদিক রোজিনাকে মারধর করছে। তার নির্যাতনে রোজিনা
অজ্ঞান হয়ে পড়লে কয়েকজন
পুলিশ সদস্য তাকে গাড়িতে করে
চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে
যায়।
জাতীয়
প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের
সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য,
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব ওমর ফারুক, কোষাধক্ষ্য
দীপ আজাদসহ আরও অনেকে এ
ঘটনার প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা
জানিয়েছেন।