
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৫, ০২:৪৯ পিএম
ঢামেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম খান।ছবি: সংগৃহীত
মাদকবিরোধী অভিযানে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেও তিনজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করেছে পুলিশ। তাদের এই দুঃসাহসিক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম খান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে এসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পুলিশ খুব সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। মাদক ও গাড়ি জব্দ করেছে। জীবন বাজি রেখে পুলিশ মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ঘটনার বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, বুধবার আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে, চট্টগ্রাম থেকে একটি গাড়ি ঢাকায় আসছে যার ভেতরে মাদক রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির লালবাগ বিভাগের একটি দল ফকিরাপুল এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু করে।
তিনি বলেন, একটি গাড়িকে থামানোর সিগন্যাল দিলে সেটি সোজা চলে যায়। প্রায় ৬০০ গজ সামনে গিয়ে গাড়িটি থামলে ভেতর থেকে একজন গুলি চালায়। এতে তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে অভিযানে নেতৃত্ব দানকারী একজন সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি), একজন এসআই এবং একজন কনস্টেবল রয়েছেন।
আহতদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এএসআই-এর পেটে গুলি লেগেছে, তবে কোনো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হবে। কনস্টেবলের পায়ে গুলি লেগেছে, তাকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে এবং মাদকবাহী গাড়িটি জব্দ করে। গাড়ি থেকে মোট ৯ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
পুলিশের অস্ত্র ব্যবহারের প্রশ্নে তিনি বলেন, এই অভিযানে সন্ত্রাসীরা ভারি অস্ত্র ব্যবহার করেনি, একটি পিস্তল দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে। পুলিশের অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হলে, তারা যা দরকার তাই ব্যবহার করবে।
সন্ত্রাসীদের সুযোগ নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, তারা বেশি সুযোগ নিতে পারছে না। কারণ পুলিশ সাহসিকতার সঙ্গে তাদের গুলির পরও গ্রেফতার করেছে। এছাড়া, আহত পুলিশ সদস্যদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী, গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম এবং রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।