• ঢাকা সোমবার
    ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুদকের মামলায় রূপালী ব্যাংক কর্মকতার ১৫ বছরের সাজা

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩, ১১:৩৭ পিএম

দুদকের মামলায় রূপালী ব্যাংক কর্মকতার ১৫ বছরের সাজা

ছবিঃ সংগৃহীত

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় রূপালী ব্যাংকের সাবেক এক কর্মকর্তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোরশেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন।

রূপালী ব্যাংকের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন মেলেনি

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আবদুল লতিফ ভূঁইয়া কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ধামতি গ্রামের মৃত আবদুল গফুর ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত রূপালী ব্যাংকের লক্ষ্মীপুরের পোদ্দার বাজার শাখায় কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে বরখাস্ত অবস্থায় তিনি পলাতক।

নোয়াখালী দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আবুল কাশেম  বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আবদুল লতিফকে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন,  সাজা কার্যকরের বিধান থাকায় আসামিকে গ্রেফতারের দিন থেকে ১৫ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আবদুল লতিফ ভূঁইয়া পোদ্দার বাজার রূপালী ব্যাংকে কর্মরত থাকাবস্থায় ১৫ বছরে চার কোটি ৭২ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪ টাকা আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে ২০০৪ সালে ৬২টি ভুয়া অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ৩০ লাখ ২০ হাজার ৮৪৯ টাকা আত্মসাতের দায়ে ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর থানায় মামলা হয়।

পরে দুদকের সমন্বিত নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) মো. নুরুল হুদা তদন্ত করে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এর আগে, আরেক মামলায় গত ১ ডিসেম্বর একই ব্যক্তিকে ২০০২ সালে নয়টি অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে চার লাখ ৬৩ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন একই আদালত। একইসঙ্গে তাকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।

 

সাজেদ/

আর্কাইভ