 
              প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৩, ০৫:২৮ পিএম
 
                 ছবি: সংগৃহীত
উন্নয়নে বদলে যাওয়া জনপদ রংপুরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নগরজুড়ে চলছে সাজ সাজ রব। রং-বেরংয়ের তোরণে সেজে উঠেছে বিভিন্ন এলাকা। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে মহানগরী। এদিন জনসভায় যোগ দেয়ার পাশাপাশি ২৭টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ৫টির ভিত্তিস্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া তার এ সফরে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বার্তা আশা করছেন উত্তরের মানুষ।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। বৈদ্যুতিক পিলার, ল্যাম্প পোস্ট, দেয়াল, গাছ - কোথাও ফাঁকা নেই। ধুয়ে-মুছে চকচক করা হয়েছে রাস্তাঘাট, রোড ডিভাইডার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাত্র পাঁচ মাসেরও কম সময় বাকি। এরই মধ্যে রংপুর মহানগরীর এ মহাসমাবেশকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, গেলো সাড়ে ১৪ বছরে রংপুরকে বিভাগ ঘোষণাসহ একগুচ্ছ পরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রমে পুরো এলাকায় এখন দৃশ্যমান রূপান্তরের চিত্র। উত্তর জনপদের একেবারে প্রান্ত সীমানার এ বিভাগের সার্বিক উন্নয়নে এখন পরিস্থিতি এতোটাই বদলে গেছে যে, সর্বস্তরের জনগণই সুফল পাচ্ছেন পরিকল্পিত উন্নয়নের।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আজ এখানে শুধু প্রকল্পই উদ্বোধন করবেন না, বেলা ৩টায় জেলা স্কুল মাঠে আয়োজিত বিভাগীয় জনসমাবেশে ভাষণও দেবেন। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় এক যুগ পর রংপুর যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যাকে একনজর দেখতে অন্তত ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে স্কুল মাঠে। অনেকের আশা, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ শিল্পায়নের নতুন ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী৷
জানা গেছে, জনসভার মাঠ থেকেই ২৭টি প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরের দিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে রংপুর জেলা স্কুলে সমাবেশের মাঠ পরিদর্শন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রপান্তরিত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, বিএনপির ভাটাপড়া আন্দোলন নয়, ৭০ শতাংশ দেশবাসী উন্নয়নের পক্ষে দাঁড়াবেন।
এদিকে, জনসভার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ-র্যাবের সদস্যরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। মাঠে থাকবে সাদা পোশকের গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। এছাড়া, নগরীতে এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রবেশপথগুলোয় সন্দেহভাজন যানবাহন ও ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। ২১টি পয়েন্টে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রংপুরের ৮ জেলার ৫৮টি উপজেলা থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং নেতাকর্মী আজকের সমাবেশে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ এ জন্য বিশেষ ট্রেন পরিচালনারও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷
সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
জেকেএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      