
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১ হাজারটা সংস্কার করেও কোনো লাভ হবে না, যদি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হয়। তাই আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে, এবং এটা অব্যাহত রাখতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে গণঅভ্যুত্থানের যে শক্তিগুলো ছিল—প্রথমত ছাত্র-জনতার সবার সমর্থন, দ্বিতীয়ত দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এবং তৃতীয়ত বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী। শেখ হাসিনার পতনের পেছনেও এই তিনটি শক্তি কাজ করেছে—ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ সমর্থন এবং সেনাবাহিনী এটিকে সহায়তা করেছে।
তিনি আরও বলেন, তবে দশ মাস অতিক্রান্ত হলেও জাতীয় সেই ঐক্যে বিভেদ ও বিভাজন পরিলক্ষিত হয়েছে, এবং তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সবাই সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দিলেও কোথায় ঐকমত্য তা প্রকাশিত নয়। সবাই মুখিয়ে আছে—কোথায় ঐকমত্য তা জানার জন্য। কিন্তু প্রেক্ষাপট অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান আমীর খসরু।
ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামীর রাজনীতি আগের মতো হবে না। সত্যিকার অর্থে পরিবর্তনশীল মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের রাজনীতি করতে হবে। যে সমস্ত দল বা ব্যক্তি এসব বুঝবে না, তাদের কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই।
সংস্কার প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মতপার্থক্যের বিষয় প্রকাশ করা হলেও কোথায় ঐকমত্য তা প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু প্রেক্ষাপট অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। এ সম্পর্কে সবাইকে জানানোর আহ্বান জানান তিনি।
যারা ফ্যাসিবাদের পথে হাঁটছে তারাই নির্বাচন চায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারের গণতান্ত্রিক পথে ফেরাতে সমস্যা কোথায়—এমন প্রশ্নও তোলেন বিএনপির এই নেতা।