
প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণসহ কয়েকটি দাবিতে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সোমবার (২৩ জুন) আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।
ঘোষণা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকার কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজস্ব ভবনে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি এবং ঢাকার বাইরে স্ব স্ব দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি, কলম বিরতি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হবে।
এ ছাড়া জারি করা প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক সব বদলি আদেশ বাতিল না হলে এবং নিপীড়নমূলক নতুন কোনো বদলির আদেশ হলে ২৫ ও ২৬ জুন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে কলম বিরতি, অবস্থান কর্মসূচি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হবে
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আগামী ২৭ জুনের মধ্যে বদলি আদেশ বাতিল না করা হলে এবং দেশ ও রাজস্ব ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানকে অপসারণ না করা হলে ২৮ জুন থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার কমপ্লিট শাটডাউন চলবে।
সংবাদ সম্মেলনেএনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকাল থেকে এনবিআর ভবনে কাফনের কাপড় পরে কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাতে ‘গোলামী আইন বাতিল কর, করতে হবে’ ‘বদলির নামে প্রহসন মানি না, মানবো না’ কিংবা ‘বদলির নামে জুলুমবাজি বন্ধ করতে হবে, বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে এনবিআরকে দুই ভাগ করার অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এর বিরোধিতা করে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতির আন্দোলন করে এনবিআরের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা। পরে আর ২৫ মে রাতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, এনবিআর বিলুপ্ত নয়, বরং এ প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীন ও বিশেষায়িত’ বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে। ফলে কলম বিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করে এনবিআর। তবে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও চেয়ারম্যানকে অসহযোগিতা করার ঘোষণা দেয় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।