
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
ভারতের উজানে পশ্চিমবঙ্গ, অরুণাচল ও মেঘালয়ে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে দ্রুত বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে তিস্তা নদীর পানি। এ অবস্থায় লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
শনিবার (৯ আগস্ট) বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে দেওয়া এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে এ তথ্য।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে আগামী তিন দিন তিস্তার পানি ক্রমাগত বাড়তে পারে। এ সময়ে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানিও সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সুরমা-কুশিয়ারা, সোমেশ্বরী, ভুগাই ও কংস নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়ে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে আগামী তিনদিন। সেইসঙ্গে গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানিসমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এ দুই নদীর পানিও।
তিস্তার পানি বাড়ার কারণে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে পাটগ্রামের গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী ও নোহালী; আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া ও পলাশী এবং সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়নে ঢুকে পড়তে পারে পানি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ঢাকার বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী তিস্তার পানি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সাময়িকভাবে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।