
প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
গুম, খুন, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনেই সম্ভব। কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে আইনি ব্যাখ্যা চাইলে- তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
রোববার (১২ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের বিরতির সময় গণমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা যথা সময়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে পৌঁছে গেছে। ১৫ জন সেনা হেফাজতে আছে এটা গণমাধ্যমে দেখলেও, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানে না কর্তৃপক্ষ।
এদিন যুক্তিতর্কে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে প্রসিকিউশন। উঠে আসে স্বাধীনতা-পরবর্তী বাকশাল কায়েম, দুর্ভিক্ষ ও এর পরবর্তী ঘটনাসমূহ। এছাড়া, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম, খুন, নির্যাতনের ঘটনাও ট্রাইব্যুনালে বর্ণনা করেন চিফ প্রসিকিউটর।
তিনি বলেন, মানুষকে গুম করে নির্মমভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হতো। কাউকে হত্যা করতে রেললাইনে ফেলে ট্রেনে কাটা পড়ার নাটকও সাজানো হতো। যাদের হত্যা করা হতো না, তাদের বিভিন্ন সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় ফাঁসানো হতো। ক্রসফায়ারের নির্মম ঘটনাও তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর। এসব ঘটনার প্রমাণ তদন্ত সংস্থা পেয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিচারের নামে যেসব বিচারক স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও সাংবিধানিকভাবে আইনি পদক্ষেপের বিধান থাকা উচিৎ বলে মত দেন চিফ প্রসিকিউটর।