• ঢাকা মঙ্গলবার
    ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

আদালত যেখানে বলবেন, আসামি সেখানেই থাকবেন: চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম

আদালত যেখানে বলবেন, আসামি সেখানেই থাকবেন: চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

সিটি নিউজ ডেস্ক

গ্রেফতারের পর আসামিরা কোথায় থাকবেন, সে ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

সোমবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এসময় ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে মি. ইসলাম বলেন, কোন জায়গাকে কারাগার ঘোষণা করা হচ্ছে তা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের বিবেচ্য বিষয় নয়।

"আমাদের বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে, আইন অনুযায়ী কাজটা করতে হবে। আসামিকে গ্রেফতার যদি করা হয়, করা মাত্রই উইদিন টোয়েন্টি ফোর আওয়ার্স (২৪ ঘণ্টার মধ্যে) তাকে আদালতে আনতে হবে। এটা হচ্ছে মোদ্দাকথা। সেটা সংবিধানে যেমন আছে, আইসিটির আইনে আছে, সিআরপিসিতে (ফৌজদারি কার্যবিধি) আছে," বলেন মি. ইসলাম।

তবে সরকার চাইলে কোনো নির্দিষ্ট জায়গাকে কারাগার বা উপকারাগার ঘোষণা করতে পারেন বলে জানান তিনি।

"যদি সরকার কোনো নির্দিষ্ট জায়গাকে সাবজেল ডিক্লেয়ার করে, সরকারের সেই ক্ষমতা আছে। কোন জায়গাটাকে তারা জেল ঘোষণা করবেন, প্রিজন অথরিটির আওতায় নিয়ে আসবেন, সেটা সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত। সুতরাং এটা আমাদের কোনো কনসার্ন হওয়ার কোনো বিষয় নয়।"

"আইন হচ্ছে আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে আনতে হবে। আদালতে আনার পর আদালত যদি ফারদার অর্ডার (পরবর্তী আদেশ) দিয়ে বলেন-কারাগারে পাঠান, তখন কারাগার বলতে সেটা কেন্দ্রীয় কারাগারও হতে পারে, সেটা জাতীয় সংসদ ভবনের মধ্যেও হতে পারে, এমপি হোস্টেল হতে পারে বা অন্য কোনো জায়গাকেও যদি সরকার কারাগার ঘোষণা করেন, সে জায়গায় পাঠানো যেতে পারে। কিন্তু সেটা জেল বা কারাগার হিসেবে গণ্য হবে," বলেন মি. ইসলাম।

সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের ক্ষমতা নেই বলেও মন্তব্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে সেনাবাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে মি. ইসলাম বলেন, "তারা কিন্তু গ্রেফতার করবে না। তারা অবহিত থাকার অর্থ হচ্ছে, যখন পুলিশ এই গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করতে যাবে, তারা অবহিত থাকলে এই পরোয়ানা তামিল করতে তাদের সাহায্য করবে। সুতরাং অ্যারেস্টিংয়ের পাওয়ার (গ্রেফতারের ক্ষমতা) কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর, অন্য কারও নয়।"

তাহলে সেনা হেফাজতে থাকার ব্যাখ্যা কী?- এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, "যখনই গ্রেফতার দেখানো হবে, গ্রেফতার করা হবে, তখন থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই তাকে আদালতে আনতে হবে।"

আর্কাইভ