প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে ও বিচার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষার্থী ও সব স্তরের মানুষের ঢল নেমেছে।
উত্তাল হয়ে উঠেছে শাহবাগ মোড়। হাদি হত্যার বিচার প্রক্রিয়ার রূপরেখা ঘোষণা না করা পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন আন্দোলনকারীরা।
শাহবাগ এলাকায় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই জড়ো হতে শুরু করে মানুষ। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
এরপর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকসমাগম বাড়ে এবং বিকালে শাহবাগে শুরু হয় ‘আধিপত্যবাদবিরোধী সমাবেশ’।
সমাবেশে নেতৃত্ব দেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম। ডাকসু নেতারা একটি ট্রাকে করে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় কেউ মিছিল নিয়ে, কেউবা স্ব উদ্যোগে শাহবাগে এসেছেন। তাদের হাতে পতাকা, মুখে স্লোগান। ‘ফ্যাসিবাদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা এই বাংলায় হবে না’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাবো’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন তারা।
এ সময় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুনতাসীর আহমেদ বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদের পক্ষে যারা কাজ করছে, তাদের আর বাংলাদেশে একচুলও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা এই শাহবাগ চত্বরকে শহীদ ওসমান হাদি চত্বর ঘোষণা করছি।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান বলেন, ভারত একটি কুলাঙ্গার রাষ্ট্র। তারা আমাদের দেশের সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়। তিনি হাদি হত্যার বিচার দাবি করে বলেন, ড. ইউনূসকে বলব, আপনি ভয় পাবেন না।
সমাবেশ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার, হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে দায় স্বীকারের দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না।
গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাদি। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই সব স্তরের ছাত্র-জনতা শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।