প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদের স্ত্রী, বান্ধবী ও শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছিদ্দিক আজাদ তাদের ৪ দিনের রিমান্ড আদেশ দেন। এছাড়া একই মামলায় রিমান্ড শেষে আজ (২০ ডিসেম্বর) রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী মো. নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর আসামিদের প্রথম দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- ফয়সালের স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, তার বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা এবং শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু।
প্রথম দফার রিমান্ড শেষে আজ (২০ ডিসেম্বর) তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করে পুনরায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে হত্যাকাণ্ডের পেছনের উদ্দেশ্য উদঘাটন, ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতার, হত্যায় অর্থদাতাদের খুঁজে বের করা, ইন্ধনদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত এবং এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অপর আসামি নুরুজ্জামান নোমানীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তিন আসামির ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং নুরুজ্জামান নোমানীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার আসামিরা হলেন- ফয়সালের বাবা মো. হুমায়ুন কবির ও মা মোসা. হাসি বেগম, স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ সিপু, রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, সহযোগী মো. কবির এবং ভারতে পালাতে সহায়তাকারী সিভিয়ন ডিউ ও সঞ্জয় চিসিম।