প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২২, ০৪:০১ পিএম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে পৃথক বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার তাদের আটকের অভিযোগটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার উত্তরার বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ। একই সময় (রাত সোয়া ৩টার দিকে) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসকেও তার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
মধ্যরাতে কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ পরিদর্শন শেষে বাসায় ফেরেন মির্জা আব্বাস।
বাসায় যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দুই মাঠ পরিদর্শন করেছি। আগামী ১০ ডিসেম্বর যে কোনো মূল্যে সমাবেশ হবে। সারা দেশের নেতাকর্মীদের দ্রুতই সমাবেশের স্থান জানিয়ে দেয়া হবে। স্থায়ী কমিটি ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব কোথায় সমাবেশ হবে। এরপর চূড়ান্ত স্থান নির্ধারণ সম্পর্কে জানানো হবে।’
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে বিএনপির প্রতিনিধি দল ডিএমপি সদর দফতরে যান। পরে তারা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন তারা।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকবে
বৈঠকে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করার জন্য রাজধানীর কমলাপুর স্টেডিয়াম মাঠের জন্য অনুমতি চান বিএনপি নেতারা।
তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বিএনপিকে মিরপুরে সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠে গণসমাবেশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
বৈঠক শেষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যন বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘সমাবেশ করার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে ভেন্যু হিসেবে মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে আমরা কমলাপুর স্টেডিয়াম মাঠে সমাবেশ করার কথা বলেছি। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) রাতেই দুই মাঠ পরিদর্শন করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
সাজেদ/এএল