• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

স্যাংশন সরকারের অর্জিত কর্মফল

প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৩, ১২:২৫ এএম

স্যাংশন সরকারের অর্জিত কর্মফল

ক্রীড়া ডেস্ক

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, শেখ হাসিনা বুঝে গেছেন তার পতন আসন্ন। স্যাংশন বা ভিসানীতি আমার কাছে বড় কিছু নয়। এটা সরকারের অর্জিত কর্মফল। 

শুক্রবার (৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রমনা থানা লেবার পার্টি কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, দেশে এখন একটি রাজনৈতিক ঘনঘটা চলছে। রাজনীতিবিদরা আর রাজনীতি পরিচালনা করে না। আমলা-কামলা ও পুঁজিপতিরা এখন রাজনীতি করছে। রাজনীতি এখন পরিণত হয়েছে লাভজনক ব্যবসায়। 

ইরান বলেন, বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে শোষক, আরেকদিকে শোষিত। ক্ষমতায় আসার আগে শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে বলেছিলেন, ১০ টাকায়, বিনা পয়সায় সার দেবেন ও ঘরে-ঘরে চাকরির ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু  ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা ১০ টাকায় চাল খাওয়াননি। তিনি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। 

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে একই জিকির করে যাচ্ছেন, তার অধীনে নির্বাচনে সুষ্ঠু হবে। কিন্তু, সর্বশেষ বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন কি সুষ্ঠু হয়েছে? তার মানে তিনি একজন মিথ্যাবাদী। বায়তুল মোকাররমের সামনে জামায়াত সমাবেশ করেছে, একই রকমভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটেও সমাবেশ করেছে। কিন্তু গত ১০ বছর যাবত তাদের কোনো মিটিং-মিছিল করতে দেওয়া হয়নি, তার মানে সরকার সেটি অন্যায় করেছে। তাদের মানবাধিকার যেভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে, তার দায়ে আদালতে মামলা হওয়া উচিত। 

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আজ ফেসবুকে দেখলাম বিএনপি কিছু লোকের তালিকা তৈরি করছে। শুধু কি ডিসি-এসপিদের দোষ? থানার ওসিদের কোনো দোষ নেই? আপনারা এ রকম কয়জনকে মামলা দেবেন?  বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাদের কথা দিতে হবে যে কোনো ধরনের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করবে না। আমরা প্রতিহিংসার বাংলাদেশ দেখতে চাই না। 

তিনি বলেন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, সিন্ডিকেটই আজ মন্ত্রণালয় চালাচ্ছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী নিজেই নাকি সিন্ডিকেট চক্রের হোতা। রক্ষক আজ ভক্ষক হয়ে গেছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় কাঁচা মরিচের দাম কে বাড়িয়েছে সেটা সরকারের তদন্ত করা উচিত। 

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের সমস্ত ব্যয়ভার মনে হয় বাংলাদেশ থেকেই যায়। কারণ যেটারই দাম বাড়ে, সেটার উৎপাদনে সমস্যা দেখা দেয়। বড় কোনো ঘটনা যখনই ঘটে, পুলিশ বলে প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেবে, কিন্তু সে প্রয়োজনটা কী? ঘটনা ঘটলেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা ছোট নাকি বড়, সেটা দেখার বিষয় নয়। 

বিক্ষোভ সমাবেশে লেবার পার্টি রমনা থানার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

 

বিএস/

আর্কাইভ