
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন যে প্রক্রিয়ায় হয়েছে তা যথার্থ ছিল না। যেসব অনিয়ম বা অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসন সেসবের কিছুই পাত্তাই দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মিরপুর-১-এ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আসাদুজ্জামানের ষষ্ঠ স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে নীলক্ষেতে—এটা চাপা দেবেন কীভাবে? ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিরোধ নেই। তবে অসমতল মাঠে নির্বাচন দিয়ে সাধারণ ছাত্রদের প্রতারিত করেছে প্রশাসন। কারও উদ্দেশ্য সাধনে একগুঁয়েভাবে নির্বাচন দেয়া হয়েছে বলেও তিনি প্রশ্র রাখেন।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে নির্বাচন ব্যবস্থা কবর দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তার পথ অনুসরণ করে কাউকে জিতিয়ে দেয়ার নীলনকশা থাকলে জাতি তা মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন রিজভী।
বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের এই নেতা বলেন, সবার আশা, এই সরকারের আমলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আসবে। তবে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে একটি শ্রেণি অসৎ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের নজর রাখা উচিত ছিল। এই প্রক্রিয়া চলতে থাকলে আগামী জাতীয় নির্বাচন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে বলেও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, শেখ হাসিনা নানা কায়দায় মানুষের মূল্যবোধ নষ্ট করে দিয়েছিলেন। তাকে পালাতে বাধ্য করেছি, কিন্তু সামনে এখনও অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপি এমন রাজনীতি চায় যেখানে গণতন্ত্র থাকবে, মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে। নির্বাচনে বিভেদ ভুলে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।