• ঢাকা শুক্রবার
    ০৪ জুলাই, ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

সুন্দরগঞ্জ-চিলমারী তৃতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধন জুলাই মাসেই: সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী

প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৫, ০৮:২৮ পিএম

সুন্দরগঞ্জ-চিলমারী তৃতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধন জুলাই মাসেই: সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

জুলাই মাসেই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার হেড কোয়ার্টার সংযোগকারী তৃতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জুলাইকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই এ মাসের মধ্যেই সেতুটি উদ্বোধনের আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত ৯৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি টুকিটাকি কাজও দ্রুত শেষ করা হবে।’

সচিব আরও বলেন, ‘মূল সেতুর পাশাপাশি সংযোগ সড়ক, নদীশাসন, কালভার্টসহ অন্যান্য কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। সেতু পুরোপুরি প্রস্তুত হলে উপদেষ্টা মহোদয়ের সঙ্গে আলোচনা করে উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’

জমি অধিগ্রহণ এখনো সম্পন্ন না হওয়ায় উদ্বোধনে বিলম্ব হতে পারে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টিও দ্রুত নিস্পত্তির প্রক্রিয়ায় রয়েছে।’ সেতুর দু’পাশে নির্মিত ছোট ছোট ব্রিজ ও কালভার্টগুলোর সংযোগ সড়কের কাজও অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলেও আশা রাখি।‍‍`

পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ মিয়া, যুগ্ম সচিব সামছুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব আবুল হাসান, সচিবের একান্ত সচিব আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকার, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জেম হোসেন, রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুল ওহাব খান, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মালেক, রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মুসা, গাইবান্ধা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল চৌধুরী, সহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুর রহমান প্রামানিক, উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম, মাহবুবুর রহমানসহ অনেকে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে এবং আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ)-এর অর্থায়নে তৃতীয় তিস্তা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রায় ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন।

মূল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬৭ কোটি টাকা। সংযোগ সড়ক, নদীশাসন, কালভার্ট ও জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হচ্ছে আরও ৩৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সেতুর নির্মাণে রয়েছে ২৯০টি পাইল, ৩০টি পিলার, ২৮টি স্প্যান ও ১৫৫টি গার্ডার। সেতুর উভয় পাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে ১২টি ব্রিজ ও ৫৮টি বক্স কালভার্ট।

প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা হয়েছে ১৩৩ একর জমি। নদীশাসন করা হয়েছে দুই পাশে ৩.১৫ কিলোমিটার করে। নির্মিত হচ্ছে সুন্দরগঞ্জ অংশে ৫০ কিলোমিটার এবং চিলমারী অংশে ৭.৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। তিস্তা নদীর উপর নির্মিত এই সেতু কেবল একটি যোগাযোগ মাধ্যম নয়, এটি দুই জেলার মানুষের স্বপ্নের সেতু হয়ে উঠেছে।

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ